ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ (সরাইল- আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েছেন কলার ছড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৬ নম্বর পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিন নম্বর বুথে ভোট দেন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।
ভোট দেওয়া শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, ‘ইভিএম-এ ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। জয় লাভ করলে এলাকার যে সমস্ত কাজ বাকী এগুলো সমাপ্ত করব ইনশাআল্লাহ।’
এদিকে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে জয়ী করতে মরিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার মধ্য রাত থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হলেও থেমে নেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে নিজেদের ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনে কেন্দ্রে না যেতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
নির্বাচনে প্রার্থীরা হচ্ছেন- জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হামিদ, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জিয়াউল হক মৃধা, আবদুস সাত্তার ভূঞা (উকিল আবদুস সাত্তার), আবু আসিফ আহমেদ।
আব্দুস সাত্তারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আসিফকে, ভোটের দিনও যার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে 'নিখোঁজ' স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। আসিফের সন্ধান ও সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়ে মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন তার স্ত্রী মেহেরুন নিসা।
আসিফের স্ত্রী মেহেরুন নিসা তার স্বামীর অন্তর্ধানের জন্য পুলিশের দিকে ইঙ্গিত করলেও নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলছেন, এর সাথে ‘সরকারি কোনো বাহিনী জড়িত নয়’ বলে তারা জানতে পেরেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আসিফ নিজেই নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন বলে তার ধারণা।
উপজেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে নীরব প্রচারণা। ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।
সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলায় ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ৪৮টিসহ মোট ১৩২ ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, র্যাবের ১০টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি এবং ১ হাজার ৫৮৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স মোতায়েন আছে। এর মধ্যে ১২ জন আনসার, দুইজন গ্রামপুলিশ ও ৩ জন পুলিশ সদস্য। ভোটের আগে ও পরে তারা ৩ দিন নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়াও ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ১০টি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন। সরাইল ও আশুগঞ্জ ২ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও সংক্ষিপ্ত বিচারকার্য পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপনির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।