বঙ্গোপসাগরে ২৬টি মাছধরা ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতরা ৯ জেলেসহ এফবি ভাই-ভাই নামের একটি ট্রলার ডুবিয়ে দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পটুয়াখালীর সোনাচর সংলগ্ন গভীর সাগরের ছয়বাম এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডুবিয়ে দেয়া ট্রলারের এক জেলেকে উদ্ধার করেছে মা-বাবার দোয়া নামের অপর একটি ট্রলার। বাকী আট জেলে অন্য একটি ট্রলারে আশ্রয় নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা। তিনি জানান, ২২ থেকে ২৩ সদস্যের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জেলেদের উপর হামলা চালিয়ে ট্রলারের মাছসহ সব মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং একটি ট্রলার ডুবিয়ে দিয়ে যায়।
তারা আরও বলেন, “গভীর সমুদ্রে রাতে বেশিরভাগ বোট কাছাকাছি নোঙর করা থাকে। এ সুযোগে একই স্থান থেকে প্রায় ২৬টি ট্রলার ডাকাতি হয়েছে। গভীর সাগরে ডাকাতদল ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মধ্যে দুটি রাঙ্গাবালির চরমোন্তাজের, পাঁচটি মহিপুরের ও বাকিগুলো বিভিন্ন এলাকার। এখন আমরা ডুবিয়ে দেওয়া ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”
নিজামপুর কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কে এম শাফিউল কিঞ্জল গণমাধ্যমকে বলেন, “ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টহল জোরদার করেছি, তবে ঘটনাস্থল পার্শ্ববর্তী উপজেলার আওতাধীন। তাই তাদের সহযোগিতা করছি। মৎস্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা করছে কোস্ট গার্ড।”
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, এবিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। এঘটনা আমার এরিয়ার মধ্যে না।” তবে ‘ঘটনাটি জানা ছিল না বিষয়টি খতিয়ে দেখছি’ বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালীর এসপি (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।