জুন ৭, ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম
দেশের সাতটি ব্যাংকে আটকে থাকা বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর বকেয়া টাকা শীঘ্রই পরিশোধে তাগাদা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র আবুল বশর মঙ্গলবার (৬ জুন) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান। আবুল বশর বলেন, বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনার পরিমাণ ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।
এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) কর্তৃক `বকেয়া টাকা না পেলে বানিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়` বলে ঘোষনা দেয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিলো।
গত ৪ জুন আইএটিএ জানায় বাংলাদেশের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ২১ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার পাওনা রয়েছে। এক বিবৃতিতে আইএটিএ জানায় বিভিন্ন দেশে তাদের ব্লকড ফান্ডের পরিমান বিগত এপ্রিল ২০২২ এর তুলনায় এপ্রিল ২০২৩ এ এসে ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাড়িয়েছে।
আইএটিএ জানায় এই বিশাল দেনা আদায় করতে না পারলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে অব্যাহতভাবে সার্ভিস দেয়া সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক মূখপত্র বলেন, জানুয়ারি থেকে আজ (৬ জুন) পর্যন্ত এয়ারলাইন্সগুলোর ৪০ কোটি ২১ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এখন এয়ারলাইন্সগুলোর মোট পাওনা রয়েছে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।
তিনি বলেন, দেশের ৭ ব্যাংক এসব অর্থ ডিউ রেখেছিলো। এসব ব্যাংকের বিদেশী মূদ্রায় পাওনা পরিশোধের সামর্থ্য রয়েছে এবং তাদেরকে অচিরেই এ বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স কর্তৃক বাংলাদেশে টিকিট বিক্রি, কার্গো ভাড়া ও অন্যান্য সার্ভিসের বিপরীতে বকেয়া প্রায় ২১ কোটি মার্কিন ডলার পাওনা আদায়ে সরকারের সহযোগীতা চায় আইএটিএ।
আইএটিএ বলেছে শীর্ষ ব্লকড ফান্ড যেসব দেশে আছে সে তালিকায় বাংলাদেশ দ্বীতিয় স্হানে। সর্বোচ্চ ব্লকড ফান্ড রয়েছে নাইজেরিয়ায়। আফ্রিকার এ দেশটিতে উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৮১ কোটি ২২ লাখ ডলার।
আইএটিএ জানিয়েছে, পাঁচটি দেশ মোট ব্লকড ফান্ডের ৬৮ শতাংশ আটকে রেখেছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা আলজেরিয়ার কাছে পাওনা ১৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, চতুর্থ স্থানে থাকা পাকিস্তানের কাছে পাওনার পরিমাণ ১৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার, এবং পঞ্চম স্থানে থাকা লেবাননের কাছে পাওনা ১৪ কোটি ১২ লাখ ডলার।
আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ এক বিবৃতিতে বলেছেন, "প্রাপ্য অর্থ না পেলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলো ওইসব দেশে তাদের সেবা অব্যাহত রাখতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের উচিত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসে বিষয়টি সুরাহা করা যাতে আকাশপথের কানেক্টিভিটি নিয়মিত বজায় থাকে।"