রাজধানীতে মক্কার জমজমের পানি বিক্রি আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পুরো বিষয়টি নিয়ে বায়তুল মোকাররম মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদেরকে আসছে দুই দিনের মধ্যে তাদের মতামত ভোক্তা অধিদপ্তরে জানাতে বলা হয়েছে। দেশের অন্য কোন বাজারে জমজমের পানি বিক্রি হচ্ছে কি-না, তাও তদারকি করা হবে।
সোমবার রাজধানীতে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বলা হয়,এই পানি বিক্রির কোন বৈধতা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সেমিনারে আরও বলেন, “যতটুকু জানা গেছে, ‘জমজমের পানি বিক্রির আইনি কোন বৈধতা নেই। এরপরেও আমরা যাচাই-বাছাই করতে চাই। এজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবসায়ীরা শাস্তির সম্মুখিন হবে জানিয়ে এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, “যদি কোন ব্যবসায়ী এই পবিত্র পানি বিক্রি করেন তাহলে সেই দোকান আমরা সীলগালা করে দিবো। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও যারা জমজম কূপের পানি বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জমজমের পানি বিক্রির বিষয়টি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে জানিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই মহাপরিচালক আরও বলেন, “আমারতো মনে হয় না কোনো হাজি সৌদি থেকে জমজমের পানি নিয়ে আসবেন বায়তুল মোকাররমের এই মার্কেটে বিক্রি করার জন্য। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সৌদি সরকার যদি এটা জানে, তাহলে আমাদের দেশের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে।” এ ঘটনায় বাংলাদেশিদের জন্য জমজমের পানি নিয়ে আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।