জুন ৬, ২০২৩, ০৬:৪২ পিএম
গত ছয় মাসে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ৭৫ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা)।
চলমান ডলার সংকটে আমদানী ঋণপত্র খুলতে না পারাকে এর কারন হিসেবে উল্লেখ করেন সংগঠনের সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
হাবিব উল্লাহ বলেন, গত ছয় মাসে মাত্র ২৮০০ গাড়ি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয়েছে। অথচ, পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান অনুযায়ী ছয় মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার গাড়ি আমদানি হবার কথা। এ হিসেবে ৭৫ শতাংশের মতো গাড়ি আমদানি কমেছে।
তিনি বলেন, যেসব ব্যবসায়ী ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির ব্যবসা করেন, তাদের বেশিরভাগই কোনো না কোনো ব্যাংকের মালিক। ফলে এলসি বা ঋণপত্র খুলতে তাদের সমস্যা হয় না। কিন্তু মধ্যবিত্তদের জন্য যারা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করেন তাদের ব্যাংক নেই। তাই ডলার সংকটে তারা এলসি খুলতে সমস্যায় পড়েন।
বারভিডা সভাপতি প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের নেওয়া ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস করা ও হাইব্রিড কার ও জিপ (১৮০১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত) আমদানিতে শুল্ক না কমানোয় এ খাতের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
তিনি বলেন, জ্বালানি প্রাপ্যতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার স্বল্পতার কারণে দেশ এখন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি ও ব্যবহার বাড়ানো হলে এর থেকে কিছুটা মুক্তি মিলবে। এক্ষেত্রে তিনি পরিবেশ সুরক্ষা এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা ও বৈদ্যুতিক গাড়ির নিবন্ধন একদিনের মধ্যে সম্পন্ন করার দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ি সংযোজন করার সরকারের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানানো হয়।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাসের ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার ও দ্বিতীয় গাড়ির ক্ষেত্রে পরিবেশ সারচার্জ নিয়ে বাজেটে প্রস্তাবিত বিষয়টি আরও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন বলে দাবী করা হয়।
এ ব্যাপারে বারভিডা সভাপতি প্রশ্ন করে বলেন, যদি কেউ দ্বিতীয় গাড়ি ব্যবহার করেন এবং সেই গাড়ি যদি কোনো কার্বন তৈরিতে সহায়তা না করে তাহলে তাকে কেন কার্বন কর দিতে হবে?