মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থলের আশপাশ ও সড়ক। নেতাকর্মী ও সর্বসাধারণের এমন সরব উপস্থিতিতে জমজমাট অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলো বেচাবিক্রি।
শনিবার (৪ নভেম্বর) মতিঝিল, আরামবাগ, শাপলা চত্বর ও ফকিরাপুল এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
মতিঝিল এলাকায় সমাবেশ স্থলে ঢুকতেই কথা হয় চানাচুর বিক্রেতা মনসুর মিয়ার সাথে। তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মামা সমাবেশে আসলে বেচাবিক্রি ভালো হয়, দু পয়সা বেশি রোজগার করতে পারি। অন্যান্য দিন যা বেচি সমাবেশ হইলে তা হয় দ্বিগুণ।’
তার কিছু দূরেই দেখা মিললো নানা রকম মুখরোচক আচার ও ভর্তা বিক্রেতা শামীমের। তিনি বলেন, ‘গরমের অস্বস্তি দূর করতে পাঁচমিশালী এই আচার কার্যকরী। তাই মুখের রুচির জন্যও অনেকে খায়। অর্ডার করলেই কাঁচা কলা, আমলকি, তেঁতুল, চালতা, বরইসহ নানা রকম আচার ও ভর্তা বানিয়ে দেন সাথে সাথে।’
মতিঝিল এলাকার শাপলা চত্বরের পাশে ভ্যানে আনারস বিক্রি করছেন মনির বেপারী। থরে থরে সাজানো রসালো আনারস খেতে অনেক ভিড় দেখা গেছে তার দোকানে।
মনির দ্য রিপোর্টকে বলেন, আনারস রসালো এবং মিষ্টি হওয়ায় মানুষ এটি পছন্দ করে। গরম এবং ক্লান্তিতে শরীরে শক্তিও জোগায় আনারস। প্রতিদিন এই জায়গায় বসার সুযোগ হয় না। আজ সমাবেশ তাই বসেছি। আলহামদুলিল্লাহ বেচাবিক্রিও ভালো।
কথা হয় পানি বিক্রেতা ইমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, গরম আছে কিছুটা। সমাবেশে হেঁটে এসে ক্লান্ত মানুষজন পানির পিপাসায় পানি কেনে। অন্য দিনের তুলনায় বিক্রি বেশি বলেও জানান তিনি।
চিকেন স্যান্ডউইচ বিক্রেতা হারুন শেখ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এহানে মানুষ খিদা লাগলে খাওন পাইবো কই, হাতের কাছে আমার এই স্যান্ডউইচ পাইয়া খায় দামও কম। যেখানেই সমাবেশ হয়, সেখানেই বেচতে যাই গা বাবা।’
এমন অসংখ্য হকারকে সমাবেশস্থলের আশপাশে সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। কেউ মাথায় নিয়ে পানি বিক্রি করছেন, কেউবা করছেন আমড়া, চিপস, শরবতসহ নানা মুখরোচক খাবার।
দুপুরে সমাবেশ শুরু হলেও সকাল থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নেতাকর্মী ও ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে যায় পুরো এলাকা।