বেটা
সংগৃহীত ছবি
এক বছরের ব্যবধানে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ ছিল মোট রপ্তানির সাড়ে ৫১ শতাংশ। এ বছর এই প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ মোট রপ্তানির প্রায় ৭১ শতাংশ। এ হিসাবে প্রায় ২০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর পোশাক খাতের রপ্তানি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন ছিল ৮২২ কোটি মার্কিন ডলারের। পোশাকের মোট রপ্তানি আয় থেকে কাঁচামাল আমদানি বাবদ খরচ বাদ দিয়ে প্রকৃত আয়ের এ হিসাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, গত জুলাই–সেপ্টেম্বরে পোশাক রপ্তানি বাবদ মোট আয় ছিল এক হাজার ১৬২ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৩৯ কোটি ডলার। তাতে এ খাতের মোট রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৮২২ কোটি ডলারে, যা এ খাতের মোট আয়ের প্রায় ৭১ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, গত জুলাই–সেপ্টেম্বরে দেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানি আয়ের ৭০ শতাংশই এসেছে মাত্র নয়টি দেশ থেকে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে যথাক্রমে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও কানাডা। এ সময়ে এ দেশগুলো থেকে পোশাক রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৮১১ কোটি ডলার। এসব দেশের বাইরের দেশগুলো থেকে পোশাক রপ্তানি বাবদ আয় ছিল ৩৫২ কোটি ডলার।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি হঠাৎ করে বেড়ে ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট পোশাক রপ্তানি আয়ের ৭১ শতাংশই ছিল প্রকৃত আয়। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে তা বেড়ে হয় সাড়ে ৭১ শতাংশ।
-20240518060921.jpeg)
