সামর্থ্য না থাকায় নিম্নবিত্ত পরিবারের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত অনেকেই দিচ্ছেন না পশু কুরবানি। তাই ঈদের আগে ভিড় জমাচ্ছেন রাজধানীর বাজারগুলোতে। উদ্দেশ্য ঈদে পরিবারকে নিয়ে একটু ভালো থাকা।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে (ওয়াসা) কর্মরত শাহ আলম বলেন, “কুরবানি দিতে পারবো না তাই ৭৮০ টাকা করে ৫কেজি গরুর মাংস কিনেছি যাতে ঈদের দিনটায় পরিবার নিয়ে খেতে পারি।”
তরকারি বিক্রেতা রহিমা আক্ষেপ করে জানান, “১ বছরে কোনও মাংস কিনেননি। তাই দামও জানেন না মাংসের। সন্তান আবদার করলে কি করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার পরিবারের এত চাহিদা নেই। আমার সন্তান এমন আবদার করে না কারন তারা জানে আমি দিতে পারব না।”
কেউ কেউ আবার কোরবানি দিতে না পারার কষ্ট ঘুচান এক কেজি মুরগির মাংস কিংবা গরুর মাংস দিয়ে।
বেসরকারি অফিসের মোহাম্মদ আলী জানান, “গত সপ্তাহে যেই দামে কিনেছি এখন তার থেকে দাম অনেক বেশি। আমরা যারা কুরবানি দিতে পারিনা তারা একটা মুরগি কিনে নেই যাতে অন্তত ঈদের দিন বা তার পরের দিন ছেলে-মেয়ে খেতে পারে।”
এদিকে ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে গরু,ছাগল ও মুরগিসহ সকল মাংসের দাম। রাজধানীর কাওরান বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০টাকা কেজি দরে আর খাসির মাংস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু গরু কিংবা খাসি নয় কেজি প্রতি ৪০-৫০টাকা দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০টাকা, সোনালি ৩৪০, দেশি ৭৫০টাকা আর লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০টাকা কেজিতে। পরিবহনে খরচ বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে বলেন জানান বিক্রেতারা।