করোনা মোকাবিলায় উন্নত কর্মসংস্থান তৈরিতে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা করে) দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।
‘দ্য থার্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি’ এর আওতায় তৃতীয় কিস্তি হিসেবে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্ববাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাসিং মিয়াং টেম্বর স্বাক্ষর করেন। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট সিরিজের অধীনে মোট বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ৭৫ কোটি ডলার বা ৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। ঋণটি বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ), যা সহজ শর্তে অর্থায়ন করা হচ্ছে। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ করবে হবে বাংলাদেশকে। জবস ডেভলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট সিরিজ সরকারকে ৫০ লাখ চাকরির সুরক্ষা করতে সহায়তা করেছে এবং সংস্থাগুলিকে তাদের শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া অব্যাহত রাখতে সক্ষম করেছে। এটি মহামারির কারণে বাংলাদেশে ফিরে আসতে হয়েছে এমন অভিবাসী কর্মীদেরও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, ‘দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা এবং আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ব্যবসার ওপর কোভিড-১৯ মহামারীর বিরূপ প্রভাব দূর করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রোগ্রামটি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলানোর ক্ষেত্রে ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এটি মহামারি পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও দুর্বল ব্যক্তিদের কাজ ও আয় রক্ষা করতে সহায়ক হবে।’
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মের্সি মিয়াং টেম্বন বলেন কোভিড-১৯ মহামারীটি দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বব্যাংকের দেওয়া এ ঋণটি মহামারীর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের রক্ষা করতে এবং আরও উচ্চতর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকারি নীতিগুলিকে সমর্থন করে। কারণ বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার ভিশনের দিকে এগিয়ে চলেছে।