খাগড়াছড়িতে ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ৭, ২০২২, ১১:১০ এএম

খাগড়াছড়িতে ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুত

খাগড়াছড়ির রামগড়ের সোনাইপুল বাজারে এক ব্যবসায়ীর গুদামে ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুতের সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির দায়ে মেসার্স খাঁন ট্রেডার্স নামে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুল করিম পাটোয়ারীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় একই অপরাধে ওই বাজারের মেসার্স আলমগীর স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাতের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে আকস্মিকভাবে অভিযানটি চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, অবৈধ মজুতের গোপন খবর পেয়ে রামগড় পৌরসভার সোনাইপুল বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রথমে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সোনাইপুল বাজারের বিভিন্ন স্থানে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুল করিম পাটোয়ারীর ৪টি গুদামের সন্ধান পাওয়া যায়। এসব গুদামে প্রায় ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের মজুত পাওয়া যায়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, ওই ব্যবসায়ীর কোনো ডিলিং লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছাড়া ডিলারশিপ ব্যবসা অবৈধ। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফার জন্যই বিপুল পরিমাণ তেল মজুত করা হয়েছে। একই  বাজারের মেসার্স আলমগীর স্টোর নামে আরেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অনুরূপ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ মজুত পাওয়া যায়।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বলেন, ডিলিং লাইসেন্স ছাড়া ভোজ্যতেলের ডিলার হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করা এবং সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুতের অপরাধে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬-এর ৬ ধারায় বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্সকে এক লাখ টাকা এবং মেসার্স আলমগীর স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. জসিম উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

  
Link copied!