চাল ও মুরগির দাম নিয়ে কথা বলল না বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ১৮, ২০২১, ১২:০০ এএম

চাল ও মুরগির দাম নিয়ে কথা বলল না বাণিজ্যমন্ত্রী

চাল ও মুরগির বাজার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নয় বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ কারণে দামে ঊর্ধ্বমুখী থাকা এই দুই পণ্য নিয়ে কথা বলতেও নারাজ তিনি। রবিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অধিকতর অংশগ্রহণ ও বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে সপ্তাহব্যাপী (২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজন করছে।

দাম নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জানবে

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান উপস্থিত ছিলেন।বিশ্ববাজারে পেঁয়াজ বা তেলের দাম বেশি থাকায় দেশের বাজারেও এ দু’টি পণ্যের দাম বেড়েছে বলে অনুষ্ঠানে দাবি করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত চাল বা মুরগির মাংসের দাম বেশি কেন— সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিন্তু সীমা অতিক্রম করতে চাই না। এই দু’টো (চাল ও মুরগি) পণ্য আমাদের মধ্যে নয়। আমি একটি কথা বলব, আরেকজন গিয়ে বলবে বাণিজ্যমন্ত্রী তো চালের ব্যাপারে কথা বলেছেন। তখন খাদ্যমন্ত্রী বলবেন, ওনার তো অধিকারই নেই এটি নিয়ে কথা বলার। আমি অধিকার লঙ্ঘন করব না।’

বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেশি থাকায় সেটির বাজারও চড়া বলে মন্তব্য তার। বিজ্ঞাপন বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ বিনিয়োগের জন্য তৈরি হয়ে আছে। আমরা তৈরি হয়ে আছি। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার যে কাজ দেশে দেশে ঘুরে বেড়ানো এবং একটি কথা বলা— আসো, দেখে যাও— বাংলাদেশেকে নিয়ে তোমাদের যে ধারণা ছিল, এখন আর সেই বাংলাদেশ নেই। তোমরা যা দেখবে, সেটিই সত্যি। এই দেশ তৈরি হয়ে আছে। আমরা তোমাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি— তোমরা বিনিয়োগ করবে এবং সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রসঙ্গত, ৩৮ দেশকে নিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্ট সামিট করবে ঢাকা চেম্বার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ২৬ অক্টোবর শুরু হয়ে সপ্তাহব্যাপী এই সামিট চলবে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। ১০টি খাতকে এই সামিটে তুলে ধরা হবে। ২৮১টি স্থানীয় ও ২৭১টি বিদেশি কোম্পানি মিলিয়ে ৫৫২টি প্রতিষ্ঠান এই সামিটে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে।

Link copied!