সংকট কাটিয়ে উন্নয়নে ফেরার বাজেট ঘোষণা আজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৯, ২০২২, ০৮:২২ এএম

সংকট কাটিয়ে উন্নয়নে ফেরার বাজেট ঘোষণা আজ

করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশও পড়েছিল বিরূপ পরিস্থিতিতে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিরাট সংশয় ছিল। সেই অবস্থা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতির চাকা। দক্ষতার সাথে সংকট মোকাবিলা করে করোনার ভয়াবহ থাবা থেকে অনেকটাই মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ফেরার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন।

চলতি অর্থবছর বাজেট বরাদ্দ ছিল ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার বাড়ছে ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। সামনের অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন করতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। ফলে ঘাটতি বাজেট (অনুদানসহ) হবে দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর দেশে সব পণ্যের দাম বাড়ায় আগামী অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য কিছুটা বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ করা হয়েছে।

তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে। ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বমুখী পণ্য বাজার আর মূল্যস্ফীতি আরেকটি বিশ্ব মন্দার শঙ্কা জাগিয়ে তুলছে। হু হু করে বাড়ছে জ্বালানি ও খাদ্যসহ সব পণ্যের দাম। চড়ছে ডলারের মূল্য। আন্তর্জাতিক এ সংকটের ‘ভিকটিমে’ পরিণত হওয়া বাংলাদেশও হিমশিম খাচ্ছে সীমিত সামর্থ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, গত এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। মার্চ মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। গত দুই বছরে এমন মূল্যস্ফীতি আর ওঠেনি। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশে। এদিকে গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতির বিপরীতে মজুরি বেড়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ হারে। ফেব্রুয়ারি মাসেও মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

এছাড়া বাড়তে থাকা আমদানি ব্যয়, রির্জাভে চাপ তৈরি করা ডলার সংকট, টাকার মান কমে যাওয়ার নিয়মিত খবর, দেশে বিদেশের মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী রেখাচিত্র অর্থমন্ত্রীকে তার চতুর্থ বাজেট নিয়ে পরিকল্পনায় খুব বেশি স্বস্তির জায়গা দেয়নি।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যকে স্বাভাবিক রাখতে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা, কর কমিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য আর বিনিয়োগকে চাঙা করার চেষ্টার মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং খাদ্য, কৃষি ও শিল্পোপাদন বাড়ানোর মত পদক্ষেপও দেখা যেতে পারে তার বাজেট প্রস্তাবে।

অগ্রাধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে জোর দিয়ে সক্ষমতা অর্জনের পথে হাঁটতে চান অর্থমন্ত্রী।

Link copied!