দি ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) তাদের ‘সিএমএ সেপ্টেম্বর ২০২৩’ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ ১৫ জন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর নীলক্ষেতে রুহুল কুদ্দুস মিলনায়তনে এই আয়োজন করা হয়।
সদ্য উত্তীর্ণ সিএমএদের সাফল্যে অভিনন্দন জানাতে এ অনুষ্ঠানে তাদের পরিবার, ইনস্টিটিউটের সদস্যবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে অভিনন্দন জানিয়ে সদ্য উত্তীর্ণ সিএমএদের পরিবর্তনশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য নিজেদের আরও দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার পরামর্শ দেন আইসিএমএবি এর সেক্রেটারি জনাব মো. কাউসার আলম এফসিএমএ।
আইসিএমএবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর গুরুত্ব দিতে নতুন সিএমএদের অনুপ্রাণিত করেন।
তিনি বলেন, সিএমএদের পেশাদারিত্বের সাথে সঠিকভাবে কাজ করা উচিত এবং তাঁরা যে সংস্থার জন্য কাজ করেন তার জন্য সর্বোত্তম মুনাফা অর্জনের জন্য তাদের প্রাপ্ত এই পেশাদার ডিগ্রিটির সর্বোত্তম ব্যবহার করা উচিত। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানোর বিষয়ে না ভেবে বরং প্রতিষ্ঠানের মুনাফা সর্বাধিকীকরণ নিশ্চিত করা উচিত।
আইসিএমএবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট আরও যোগ করেন, সিএমএ পরিবারের অংশ হওয়ার সাথে সাথে তাঁরা অভিজাত সমাজের অংশ হিসেবে পরিগণিত হবেন। তাঁদের আচরণে উদারতা ও অন্যকে সম্মান করার প্রবণতা বাড়াতে হবে এবং অহংবোধ পরিহার করতে হবে।
তিনি এই মর্যাদাপূর্ণ ডিগ্রি অর্জনে সহায়তা করার জন্য সিএমএদের প্রদত্ত প্রচেষ্টার সাথে সাথে তাদের সম্পূর্ণ সমর্থনের জন্য সিএমএ-এর বাবা-মা, জীবনসঙ্গী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রশংসা করেন ও অভিবাদন জানান।
সংস্থাটির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান কাউন্সিল সদস্য জামাল আহমেদ চৌধুরী এফসিএমএ বলেন, একজন পেশাদার হিসাবরক্ষকের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এ বিষয়গুলির সাথে আপোষ না করে পেশার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে সেবা প্রদান করতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের দেশের মাত্র ১৮০০ সিএমএ আছেন যা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
এরপর সদ্য উত্তীর্ণ সিএমএ গণ তাদের ছাত্রত্ব থেকে সিএমএ হওয়ার যাত্রার অনুভূতি উপস্থিত অতিথিবৃন্দের সাথে শেয়ার করেন এবং সিএমএ পেশার ফ্ল্যাগশিপ সর্বদা সমুন্নত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সদ্য উত্তীর্ণ সিএমএদের তাঁদের কঠোর অধ্যবসায় এবং সিএমএ পরিবারের অংশ হওয়ার প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ ব্যক্ত করেন আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মো. আবদুর রহমান খান এফসিএমএ। তাঁদের পেশাদার পরিষেবা এবং নৈতিক আচরণবিধির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সফল সিএমএ পেশাদার হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন।
এফসিএমএ সদ্য উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইসিএমএবি কোষাধ্যক্ষ মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কেককাটা ও নৈশভোজের মাধ্যমে বর্ণাঢ্য এবং রঙিন সংবর্ধনা উদযাপনের সমাপ্ত হয়।
