করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ৬০ কার্যদিবস পাঠদান শেষে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখনও অনিশ্চিত। এরইমধ্যে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। টেস্ট পরীক্ষা ছাড়া সবাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
রবিবার (২১ মার্চ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। আর বিলম্ব ফি’সহ ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর যোগ্যতা নির্ধারণী হিসেবে এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য ও সম্ভাব্য তালিকা ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ২৮ মার্চ প্রকাশ করা হবে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেয়ার শেষ সময় ৮ এপ্রিল। আর বিলম্ব ফিসহ ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এসএসসির ফরম পূরণ করা যাবে।
২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ ২০২০ সালের পরীক্ষায় ফেল করা পরীক্ষার্থীদের ১ এপ্রিলের মধ্যে নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
টেস্ট পরীক্ষা প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছেন, ‘এবার যে পরিস্থিতি, তাতে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না। তাই, যারা ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক, তারা ফরম পূরণ করে সরাসরি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে, যখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে, ৬০ দিন ক্লাস করতে হবে। ওই ৬০ দিন যা পড়ানো হবে, সেখান থেকে প্রশ্ন করা হবে। সে অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে।’
উল্লেখ্য, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। তারপর ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার করোনা মহামারীর কারণে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে, প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু এবার করোনার প্রাদুর্ভাবে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে এখনও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।