অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) থেকে স্কলারশিপ অর্জন করলেন ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ। ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে জনপ্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ সালের জন্য প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য ৫৫ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
এই স্কলারশিপের আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে প্রত্যেক প্রার্থীকে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে থেকে নিজ যোগ্যতায় ভর্তি হতে হয়। এরপর তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) থেকে এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। এবারের বাছাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লাভাৎনিক স্কুল অফ গভর্নমেন্টে 'পাবলিক পলিসি' বিষয়ে মাস্টার্সের জন্য ফেলোশিপ অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ।
স্কলারশিপ অর্জনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ জানান, 'অক্সফোর্ডে পড়ার স্বপ্ন আমার অনেকদিনের। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার অনুপ্রেরণার সূত্র, আমার নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। ওনার জন্য গত আড়াই বছর কাজ করতে পারা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান।'
তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, 'আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ও মেন্টর জয় ভাই, ববি ভাই ও বিপু ভাই। সবসময়ই ওনারা আমাকে আরও উন্নত করার অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছেন। মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা আমার মতন একজন তুচ্ছ মানুষের প্রতি এতো দয়াশীল হওয়ায়।'
২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এ গবেষক ও বিশ্লেষক হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাব কমিটিতে সহকারী সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেন তিনি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সাব কমিটি এবং প্রচার ও প্রকাশনা সাব-কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেন।
ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ মানবাধিকার বিষয়ে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে তার এলএলএম সম্পন্ন করেন এবং এলএলবি করেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে। লিঙ্ককনসিন সোসাইটি থেকে তিনি অর্জন করেন ব্যারিস্টার ডিগ্রি। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে ব্যারিস্টার হিসেবে আইন পেশায় কাজ করেন তিনি।