সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ১২:০৮ এএম
টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিকে ঘিরে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এরই মধ্যে সাজেকের সব রিসোর্টের শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গিয়েছে । যাওয়ার ফলে গতকাল অনেকেই রাত কাটিয়েছেন স্থানীয়দের বাসায়, রিসোর্ট-কটেজের স্টোর রুমে, বারান্দা এবং গাড়িতে। আবার অনেক পর্যটক রাত কাটিয়ে দিয়েছেন রাস্তায় ও খোলা আকাশের নিচে তাঁবু টাঙিয়ে ।
পর্যটকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ঈদে মিলাদুন্নবীসহ শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি ঘিরে তাদের অনেকেই দুই থেকে তিন মাস আগেই সাজেকের রিসোর্ট-কটেজে বুকিং দিয়ে রেখেছেন।
সাজেকের রিসোর্ট-কটেজ ব্যবসায়ীরা জানানা যে, তিন দিনের এই বন্ধ ঘিরে অনেক আগে থেকেই পর্যটকরা রিসোর্ট ও কটেজের কক্ষ বুকিং দিতে শুরু করেন। সেই কারণে আগেই শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গিয়েছে। তবে গতকাল থেকেই সেখানে পর্যটকদের উঁপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। ফলে কক্ষ ভাড়া নিতে এলে এতে অনেককে রাত কাটাতে হয়েছে স্থানীয়দের ঘরে, রিসোর্ট-কটেজের স্টোর রুমে, বারান্দায়, গাড়িতে, রাস্তায় কিংবা তাঁবুতে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে সাতজন একটি দলের সাথে সাজেকে ঘুরতে এসেছেন তরুণ মো. তানভীর ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে , "গতকাল দুপুর থেকে রিসোর্ট-কটেজগুলোতে কক্ষ ভাড়া নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোথাও খালি পাইনি। পরে আমরা সবাই রাঙামাটিতে ফিরে কাপ্তাই লেকে হাউসবোটে অবস্থান নেই। আমাদের মতো অনেক পর্যটকই এভাবে ফিরেছেন।"
সাজেকের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই গণমাধ্যমকে বলেন, "সরকারি ছুটি সামনে রেখে অনেকেই মাস তিনেক আগে থেকেই বুকিং করেছে। বলতে গেলে আগে থেকেই সব রিসোর্ট ও কটেজের কক্ষ বুক হয়ে গিয়েছে।"
জেরি লুসাই আরো জানান, সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে মোট ১১২টি রিসোর্ট ও কটেজ আছে, যেগুলোতে চার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে চার হাজার পর্যটকের থাকাতে পারবে । কিন্তু গতকাল সাজেকে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় পাঁচ হাজারে। এত বেশি পর্যটক হওয়ায় তাদের রিসোর্ট বা কটেজে জায়গা দেওয়া যায়নি। ফলে ভোগান্তির স্বীকার হয়েছে বেশ কিছু পর্যটক ।