বেটা
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় শিগগিরই হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। জনসমাগম এড়িয়ে চলা, মাস্ক ব্যবহার করার আহ্বান জানান অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিগগিরই করোনা পরীক্ষার কিট পৌঁছানো হবে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ৭ নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনাগুলো হলো—
ক. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
খ. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
গ. হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন (কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করে)।
ঘ. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন।
ঙ. ঘন ঘন সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে ফেলুন।
চ. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করবেন না।
ছ. আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
সন্দেহজনক রোগীদের জন্য করণীয়—
ক. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাসায় থাকুন।
খ. রোগির নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
গ. রোগিদের সেবা দানকারীকেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
ঘ. প্রয়োজন হলে কাছে হাসপাতাল বা আইইডিসিআর বা স্বাস্থ্য বাতায়নে যোগাযোগ করুন।
সংবাদ সম্মেলনে করোনা শনাক্ত ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রস্তুতির বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেন মহাপরিচালক। তিনি বলেন, করোনা শনাক্তে আবারও আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি করোনার টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ ও এইচডিইউ সুবিধাসহ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
