প্রাথমিক চিকিৎসাই জানে না ৯৭ শতাংশ মানুষ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ০১:১১ এএম

প্রাথমিক চিকিৎসাই জানে না ৯৭ শতাংশ মানুষ

অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কমিয়ে আনার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার বিকল্প নেই। কিন্তু দেশের ৯৭ শতাংশ লোকই প্রাথমিক চিকিৎসার সঠিক ব্যবহার জানে না। যার ফলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুহার ও অঙ্গহানির মত ঘটনা ঘটছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস। প্রতিবছর সেপ্টম্বরের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস পালন করা হয়। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বিদ্যালয় থেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা’।

প্রাথমিক চিকিৎসা জানে না অধিকাংশ

দেশে প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত জ্ঞান রয়েছে খুব কম সংখক লোকের। যার ফলে প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই প্রধান মাধ্যম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ‍ব্যুরো (বিবিএস) এর মতে দেশের প্রায় ৫০ লাখ লোক প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা রাখে। যা মোট জন্যসংখ্যার প্রায়  ৩ শতাংশ। এছাড়া নানা পরিস্থিতি এই চিকিৎসার প্রয়োগও করতে পারছে না অনেকে।

বছরে প্রশিক্ষণ পাচ্ছে দেড় লাখ

প্রতি বছরে দেশে প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ পাচ্ছে মাত্র দেড় লাখ মানুষ। যা দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় নগণ্য। এছাড়া নারী ও পুরুষের প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংখ্যাগত তারতম্য থাকে। এ কারনে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ যথাসময়ে প্রয়োগের ক্ষেত্রেও বাধা পড়ছে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বিভিন্ন স্কুল কলেজে এই ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ আরও বেগমান না করলে প্রাথমিক চিকিৎসার অবস্থার উন্নতি হবে না।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আবদুল মমিন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, প্রতিবছর আমরা দেড় লাখ জনগণকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যদিও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা পরবর্তীতে অনেক ভাল কাজ করেছে। কিন্তু জনসংখ্যার তুলনায় এটা কিছুই না। এছাড়া কিছু কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেই নিজ দায়িত্বে তাদের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা মৃত্যুরোধেও সক্ষম

প্রাথমিক চিকিৎসার সঠিক প্রয়োগ হলে দেশের পানিতে ডুবে মৃত্যুসহ বিভিন্ন ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসবে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে প্রানিতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি সঠিক চিকিসা হচ্ছে না।
২০১৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অর্থায়নে দ্য সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশে (সিআইপিআরবি) এবং আইসিডিডিআর’বি পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ৪০টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে ৩০টি শিশুর বয়স পাঁচ বছরের কম।

এছাড়া অনেক সময়ে হাত পা ভাঙ্গা রোগীর ভুল ব্যবস্থাপনায় বিকলাঙ্গ ও অঙ্গহানির ঝুঁকি থেকে যায়।

Link copied!