সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ০২:২৩ পিএম
নারী ও পুরুষের সহশিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকালকারী তালেবান এবার একত্রে কাজ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, ‘দেশটিতে নারীকে পুরুষের পাশে একসঙ্গে কাজ করতে দেয়া হবে না।’
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া না হলেও তালেবান নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ওয়াহিদুল্লাহ হাশেমি একথা ঘোষণা করেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়।
হাশেমি বার্তা সংস্থাটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আফগান নারীদেরকে স্বাধীনভাবে যেকোনো কর্মস্থলে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে পরিপূর্ণভাবে ইসলামি শরিয়ত ও আইন বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, এর অর্থ হবে নারীরা সরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক, বীমা ও গণমাধ্যমের মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবেন না।’
হাশেমি আরও বলেন, ‘আমরা আফগানিস্তানে ইসলামি শরিয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য ৪০ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। আর ইসলামি শরিয়ত কোনো অবস্থায় এক ছাদের নীচে অপরিচিত নারী-পুরুষকে একসঙ্গে কাজ করার অনুমতি দেয় না।’
তালেবানের এই নেতা বলেন, ‘ব্যাংক ও গণমাধ্যমের মতো প্রতিষ্ঠানে নারীদের চাকরি নিষিদ্ধ করে শিগগিরই প্রজ্ঞাপণ জারি করা হবে। ঘরের বাইরে নারীদেরকে শুধুমাত্র চিকিৎসা সেবার মতো স্থানগুলোতে পুরুষের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দেয়া হবে।’
ওয়াহিদুল্লাহ হাশেমি আরও বলেন, ‘নারীদেরকে চিকিৎসাবিদ্যা অর্জনসহ শিক্ষকতার চাকরি করতে দেয়া হবে; কারণ, এসব সেক্টরে নারীদের প্রয়োজন রয়েছে। তবে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক ব্যবস্থা রাখা হবে।’
হাশেমির এ বক্তব্যে আফগানিস্তানের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। অনানুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের বক্তব্য প্রচার করে নারী স্বাধীনতার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার কৌশলও নিয়ে থাকতে পারে তালেবান।
সূত্র: রয়টার্স,পার্সটুডে।