চীনের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন তালিম। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৪০ কিলোমিটার। এতে ২ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দাকে ওই অঞ্চল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। চলতি বছর এটি চীনে আঘাত হানা চতুর্থ টাইফুন।
সোমবার ( ১৭ জুলাই) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের গুয়ানডং প্রদেশে এই টাইফুন আঘাত হানে। স্থানীয় সময় ১০টা ২০ মিনিটের দিকে আঘাত হানে তালিম।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শক্তিশালী এই ঝড় উপকূলে আঘাত হানার সময় প্রচণ্ড বাতাস এবং বৃষ্টি হয় এবং এর জেরে শত শত ফ্লাইট ও ট্রেন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে ভিয়েতনাম জানিয়েরঝ, কুয়াং নিন এবং হাই ফং থেকে তারা প্রায় ৩০ হাজার লোককে সরিয়ে নিচ্ছে। এই দুটি এলাকা টাইফুন তালিমের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পূর্বাভাস ছিল।
চীনের আবহাওয়া প্রশাসন বলেছে, তারা অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছিল। চার-স্তরের সতর্কতা ব্যবস্থার মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা।
আবহাওয়া প্রশাসন আরও জানায়, টাইফুনটি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে গতি হারাতে পারে এবং বুধবার উত্তর ভিয়েতনামের দিকে এগোনোর সাথে সাথে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া এই টাইফুনের জেরে ২০ ফুট পর্যন্ত উঁচু ঢেউ দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ হাইনানে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, টাইফুনটি এখন দক্ষিণ চীন সাগরের বেইবু উপসাগরে চলে যাবে এবং মঙ্গলবার সকালে স্বায়ত্তশাসিত গুয়াংজি ঝুয়াং অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার স্থলভাগে দ্বিতীয় দফায় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া এই টাইফুনের জেরে ছয় মিটার (২০ ফুট) পর্যন্ত উচু ঢেউ দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ হাইনানে আঘাত হানতে পারে বলে স্থানীয় সামুদ্রিক পূর্বাভাস কেন্দ্র সতর্ক করে দিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গুয়ানডং থেকে যাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি মাছ-খামার শ্রমিক আছেন। এছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কয়েক ডজন উপকূলীয় পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।