ডোনবাস শহরের একটি গ্রামে রুশপন্থীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙ্গে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডোনবাসের স্ট্যানিটশিয়া লুহান্সকি নামক স্থানে রুশপন্থীরা বৃহস্পতিবার গোলা নিক্ষেপ করেছে।
গোলায় ওই গ্রামের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্কুলের একটি মিউজিক রুম একেবারে ধ্বসে পড়েছে। এতে একজন নিরাপত্তা কর্মী, একজন আয়রনম্যান ও একজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি ভবনে হামলার কথা স্বীকার করেছে ডোনবাস শহরের রুশপন্থীরা।
এমন অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যাটোতে যোগদানের বিকল্প দেখছে না ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকি জানিয়েছেন, সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ইউক্রেনের ইচ্ছার কথা লেখা আছে। একমাত্র রাশিয়াই বিরোধিতা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মার্কিনীদের অভিযোগ, প্রত্যাহারের কথা বলে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে আরও বেশি সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। সেনা প্রত্যাহারে মস্কোর দাবি ‘মিথ্যা’ মন্তব্য করে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে আরও ৭ হাজারের বেশি নতুন সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া এ ধরনের মিথ্যাচারের মধ্যে যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবিকে নাকচ করে দিয়ে মস্কো এরই মধ্যে জানিয়েছে, অনুশীলন শেষে সৈন্যদের একটা অংশকে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মূল ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো এ দাবির যথাযথ প্রমাণ পায়নি বলে দাবি করছে।
ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখেরও অধিক রাশিয়ান সৈন্য মোতায়েনের দাবি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের সে দাবিকে বারবার অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের সম্ভাবনায় ইউক্রেনে ‘জাতীয় দেশপ্রেমমূলক ছুটি’ ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্কটেনবার্গও জানান, সৈন্য প্রত্যাহারের কোনোন চিহ্নই নেই।
হোয়াইট হাউজ জানায়, সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে রাশিয়া পৃথিবীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে চেয়েছে। কিন্তু আমরা এখন জানি তাদের দাবিটি মিথ্যা। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের কোন নির্দেশনা দেননি। তবুও সংকটের ছায়াটি দীর্ঘ বলছে বিবিসি। বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের কাছাকাছি দক্ষিণ ও পশ্চিম সামরিক জেলায় মহড়া শেষ হওয়ায় তাদের আরও সেনা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রমাণস্বরূপ তারা একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করে।
আরও পড়তে পারেন-
পুতিন কথা রাখেন না-মার্কিনীদের অভিযোগ