ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ আজ (বৃহস্পতিবার)। চারটি জেলার মোট ৩০ আসনে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আলাদা করে গুরুত্ব পাচ্ছে নন্দীগ্রাম। এই আসনে লড়বেন স্বয়ং তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।
আজ যে ৩০ আসনে নির্বাচন, ২০১৬ সালে তার মধ্যে মাত্র ১টি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। দিলীপ ঘোষের হাত ধরে খড়্গপুর সদর কেন্দ্রটি হাতে আসে তাদের। সে সময় তৃণমূলের হাতে ছিল ২১টি আসন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা, ওন্দা, কোতুলপুর, ইন্দাস।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক,পাঁশকুড়া পূর্ব, হলদিয়া, বাঁকুড়ার বরজোড়া এবং সোনামুখী আসন ৫টি ওঠে সিপিএম-এর হাতে। কংগ্রেস জয় পায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর এবং বাঁকুড়া, এই ৩টি আসনে।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে বুধবার রাত থেকেই নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।বহিরাগত কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল নন্দীগ্রামে।
তবে নির্বাচনের শুরুতেই সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে সবংয়ের বিষ্ণুপুরে হামলা ও বাইক ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। বিজেপির ৩ কর্মীকে আটক করা হয়েছে এবং মাথা ফেটে গেছে তৃণমূলের এক কর্মীর।
সূত্র: আনন্দবাজার।