জাতিগত সহিংসতায় বিক্ষুব্ধ ভারতের মণিপুর রাজ্য। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানিয়েছেন, গত ৩-৪ দিনে এ রাজ্যে অন্তত ৪০ ’কুকি বিদ্রোহী’ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৮ মে) বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশের কমান্ডো ও বিদ্রোহীদের মধ্যে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লড়াই চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, `সন্ত্রাসীরা` বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এম-১৬, একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং স্নাইপার বন্দুক ব্যবহার করছে। তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
আমরা সেনাবাহিনী ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে খুব শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা প্রায় ৪০ জন সন্ত্রাসীকে (কুকি বিদ্রোহী) গুলি করে হত্যা করার খবর পেয়েছি।
`সন্ত্রাসীরা` নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। মণিপুরকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টায় থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসী এবং কেন্দ্রের সহায়তায় রাজ্য সরকারের মধ্যে লড়াই চলছে৷
বিদ্রোহীরা গভীর রাতে একযোগে ইম্ফল উপত্যকা ও এর আশেপাশের পাঁচটি এলাকায় হামলা করেছে বলে কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এলাকাগুলো হল- সেকমাই, সুগনু, কুম্বি, ফায়েং এবং সেরু। অন্য আরও এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। রাস্তায় লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেকমাই-এ বন্দুকযুদ্ধ শেষ হয়েছে।
রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলের আঞ্চলিক ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (আরআইএমএস) চিকিৎসকরা রোববার জানিয়েছেন ফায়েং-এ বন্দুকযুদ্ধে আহত ১০ জনকে তারা পেয়েছেন।
বিষেনপুরের চান্দনপোকপিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ আরআইএমএস-এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরও অনেকে হতাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।