বেটা
প্রবল বৃষ্টিতে হঠাৎ বন্যায় প্রায় ১২ হাজার লোক ঘরছাড়া হয়েছেন মালয়েশিয়ায়। বন্ধ হয়ে গেছে বহু সড়ক ও মহাসড়ক। এবং দেশটির বৃহত্তম বন্দরের কার্যক্রমেও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টি শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকে আর তাতে পশ্চিমাঞ্চলীয় সেলাঙ্গর রাজ্য বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। রাজধানী কুয়ালালামপুরকে ঘিরে থাকা সবচেয়ে সম্পদশালী এ রাজ্যটি সবচেয়ে জনবহুলও।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মালেয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বন্যায় আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে সহায়তা করতে ও তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে দমকল, সেনাবাহিনী ও পুলিশের ৬৬ হাজারেরও বেশি সদস্যকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেন, “এই মুহূর্তে সেলাঙ্গরের পরিস্থিতি কিছুটা বিশৃঙ্খল। অন্যান্য রাজ্যে, বর্ষার জন্য আগেই প্রস্তুতি নেওয়া হবে। কিন্তু সেলাঙ্গরে প্রায় হঠাৎ করেই এমনটি ঘটেছে।”
তিনি জানান, সেলাঙ্গরের প্রায় ৪ হাজার লোককে তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বন্যার কারণে দেশটির বৃহত্তম বন্দর পোর্ট ক্লাংয়ের কার্যক্রমে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বহু সড়ক ও মহাসড়কও বন্ধ হয়ে আছে।
মালয়েশিয়ার বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার ১৬টি রাজ্য ও ফেডারেল অঞ্চলের মধ্যে ৮টিতে শনিবার পানির স্তর বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছিল।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সেলাঙ্গর, কুয়ালালামপুর ও আরও কয়েকটি রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
-20241114092417.jpg)
