ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে নেটোতে নিয়ে আসার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এতে আপত্তি ছিল এই সামরিক জোটের সদস্য দেশ তুরস্কের।
এই দুটো নরডিক দেশকে সদস্য করার ব্যাপারে তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের শর্ত হচ্ছে ৭০ জনেরও বেশি লোককে তাদের কাছে তুলে দিতে হবে যাদেরকে তিনি সন্ত্রাসী বলে মনে করেন।
তুরস্ক যেসব ‘জঙ্গিদের’ তালিকা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন একজন সাংবাদিক।
ওই সাংবাদিকের নাম বুলেন্ত কেনেস। তিনি টুডে’স জামান নামে একটি ইংরেজী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
২০১৬ সালে তুরস্কে এক রক্তক্ষয়ী ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ফেতুল্লা গুলেন এ ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পেছনে ছিলেন।
আর ফেতুল্লা গুলেনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বুলেন্ত কেনেস।
এ সাংবাদিক ২০১৫ সালে তুরস্ক থেকে পালিয়ে সুইডেনে আশ্রয় নেন।
তুরস্ক যে তালিকা দিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছেন ফাতিহ নামে এক ব্যক্তি। তিনি জাতিগতভাবে একজন কুর্দি। ফাতিহ ২০০৮ সালে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
বর্তমানে ৩৭ বছর বয়সী ফাতিহ ফিনল্যান্ডে বাস করেন এবং তিনি ফিনল্যান্ডের নাগরিকত্বও পেয়েছেন।
তবে ওই সময়ের ঘটনার জন্য ফাতিহ এখন অনুতপ্ত।
তুরস্ক দাবি করে ফাতিহ পিকেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সক্রিয় সদস্য।
এই তালিকায় রয়েছেন আয়সেন ফারহফ নামে একজন শিক্ষিকা। তিনি ২০ বছর আগে সুইডেনে পালিয়ে আসেন।
গণমাধ্যম বিবিসির কাছে আয়সেন ফারহফ জানিয়েছেন, তিনি ২৫ বছর আগে কুর্দি মিলিশিয়াদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু এখন তুরস্কের কোনো রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত না।
এদিকে তুরস্ক তাদের ফেরত চাইলে এসব ব্যক্তিদের ফেরত না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।