ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপনাম নিয়ে মানহানির অভিযোগে করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছরের কারাদণ্ড পান দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা ও সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী। এবার হারালেন সংসদ সদস্য পদও।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়। কেরালার ওয়েনাড লোকসভা আসনের সদস্য রাহুল গান্ধীর সংসদ পদ বাতিল করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
এর আগে তাঁকে গতকাল দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাটের সুরাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) এইচ এইচ ভার্মা।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনি প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী স্লোগান তোলেন, 'চৌকিদার চোর হ্যায়'। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেই এ স্লোগান তোলেন তিনি।
এরপর পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও ললিত মোদীর সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবির মিল নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন ভারতীয় কংগ্রেসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা; বলেছিলেন, “সব চোরের পদবি মোদী হয় কী করে?”
ওই মন্তব্যের জেরে বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুর্নেশ মোদী কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে দেন। 'মোদী' পদবির সবার অপমান হয়েছে বলে অভিযোগ করে এ মামলা করা হয়। সেই মামলার রায়ই বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দিয়েছেন আদালত।
ওই মামলায় আদালতের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সেসময় আদালতেই উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী। কারাদণ্ডের নির্দেশের পরপরই আদালত থেকে ৩০ দিনের জামিন পেয়েছেন কেরালার ওয়েনাদ থেকে নির্বাচিত এই এমপি। আপিল করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে।
রায়ের পর মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃত করে রাহুল গান্ধী টুইটারে লেখেন, ‘আমার ধর্ম সত্য ও অহিংসার ওপর প্রতিষ্ঠিত। সত্য আমার ঈশ্বর, অহিংসা তা পাওয়ার মাধ্যম।’
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ভীত শাসকরা রাহুল গান্ধীর কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে। আমার ভাই কখনও ভয় পায়নি, কখনও ভীত হবেও না। সে সত্য কথা বলতে থাকবে। সত্যের শক্তি ও কোটি দেশবাসীর ভালোবাসা তার সঙ্গে আছে।’