কোনো ভিসা ছাড়াই ওমরাহ করতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭ দেশের নাগরিকরা।
সোমবার সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
এ ছাড়া এসব দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা অন-অ্যারাইভাল প্রক্রিয়া আরও সহজ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সৌদি সরকার।
এমনকি, তারা ভ্রমণের উদ্দেশে এসেছেন নাকি ওমরাহ পালনের জন্য এসেছেন, সে বিষয়টিও ধরা হবে না। এটি ভিসাধারীদের নিকটাত্মীয়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওমরাহ প্রক্রিয়া সহজ, উন্নতমানের সেবাসহ সৌদির সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য সৌদির ভিশন-২০৩০-এর অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, হজের জন্য যোগ্য ব্যক্তিরা সহজেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা সাজাতে পারবেন। চাইলে এসব দেশের নাগরিকরা সৌদিতে পৌঁছেই ওমরাহ করতে পারবেন।
এ ছাড়া ট্রানজিট ভিসার মাধ্যমেও ওমরাহ পালন করা যাবে। তবে তাদের সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানে আসতে হবে। পুরো বিশ্বের মুসলিমদের জন্য ওমরাহ পালন সহজ করার অংশ হিসেবে এমন সুযোগ রেখেছে সৌদি আরব।
হজ ও ওমরাহর মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। হজ হলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমি নারী-পুরুষের জন্য হজ পালন বাধ্যতামূলক। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজে হজ পালন করা হয়। অন্যদিকে, ওমরাহ হলো একটি ঐচ্ছিক বিষয়। বছরের যেকোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। ওমরাহ করতে গিয়েও পবিত্র কাবা শরিফসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক অবকাঠামো দেখার সুযোগ পান মুসল্লিরা।
এদিকে, বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য ওমরাহ বিমার সামগ্রিক খরচ ৬৩ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় গত ১০ জানুয়ারি থেকে খরচ কমিয়ে ২৩৫ থেকে ৮৭ সৌদি রিয়াল করেছে। ওমরাহর জন্য বিমা হলো- বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর হজ যাত্রীদের জন্য একটি সমন্বিত নীতি।
এই ভিসাপদ্ধতিতে চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তি, গর্ভাবস্থা, জরুরি প্রসব, জরুরি ডেন্টাল সেবা, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা, ডায়ালাইসিসসহ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চিকিৎসাসেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার কারণে স্থায়ী অক্ষমতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যু, মরদেহ দেশে ফেরত দেওয়া ও আদালতের রায়ে জারি করা ব্লাড মানি, ফ্লাইট বিলম্বের ক্ষতিপূরণ এবং ফ্লাইট বাতিলের ক্ষতিপূরণের মতো বিষয়গুলোও এর অন্তর্ভুক্ত।
সৌদি আরবে প্রবেশের দিন থেকে শুরু করে ৯০ দিন পর্যন্ত এ বিমা কাজ করবে এবং তা শুধু সৌদি আরবেই কার্যকর হবে। এই বিমার বিষয়ে সব তথ্যসামগ্রিক বিমা প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।