গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার জনে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৭ হাজার ২০০। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী। গাজা ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পৃথক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়,রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৭০ জনে। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৮০০ জনই শিশু ও ২৫৫০ জন নারী।’
বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ‘বিগত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) গাজায় ইসরায়েলি হামলা অন্তত ২৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।’
এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে—গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে অন্তত ১৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আহত হয়েছে আরও অন্তত ২ হাজার ২০০ জন। সব মিলিয়ে গাজা ও পশ্চিম তীরে নিহতের মোট সংখ্যা ৯ হাজার ৯২৩ জন। এর আগে রবিবার (৫ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সালামা মারুফ বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় ৫৫টি মসজিদ, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি গির্জা ধ্বংস হয়েছে।’
সালামা মারুফ আরও জানান, গাজা প্রশাসনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনের পাঁচটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৬টি হাসপাতাল, ৩২টি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ২৭টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে। চিকিৎসা খাতসংক্রান্ত ১০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজার জনসংযোগ বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইসরায়েলি হামলায় ৮ হাজার ৫০০ ঘর, ৪০ হাজার আবাসন ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এ ছাড়াও ২ লাখ ২০ হাজার ইউনিট কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৮৮টি সরকারি প্রধান কার্যালয়, ২২০টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব স্কুলের মধ্যে ৬০টি মেরামতের অযোগ্য।