বেটা
প্রতীকী ছবি
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ভারতের ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খন্ড, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে একদিনে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বিহার রাজ্যের অরঙ্গাবাদ জেলায় সর্বোচ্চ মারা গেছেন ১৯ জন। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওইসব এলাকার সিনিয়র কর্মকর্তারা বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন মানুষজন। তীব্র গরমে মারা যাচ্ছেন বয়োজ্যেষ্ঠরা।
এর আগে, বুধবার দিল্লির শহরতলি মুঙ্গেশপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, সেন্সরের ভুলের কারণে এ তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বেশি দেখানো হয়েছে। প্রকৃত তাপমাত্রা ছিল ৪৯ ডিগ্রি। সেটিও ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
ভারতের কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, “চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ওড়িশ্যার মানুষ। রাজ্যটিতে গত কয়েকদিন আগে থেকে বাতাসের আদ্রতা উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। সেখানে তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রিতে।”
এদিকে, ওড়িশা স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যটিতে একদিনে হিট স্ট্রোকে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার ৪১ জন মারা যান। রোরকেলা সরকারি হাসপাতালে দুপুর দেড়টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আটজন মারা যান।”
এছাড়া চলমান তাপপ্রবাহে বিহার রাজ্যে মারা গেছেন ১৯ জন। বোজপুরে নির্বাচনের কাজে যুক্ত পাঁচ ব্যক্তিসহ নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। জাহানাবাদে এক সেনাসহ মারা গেছেন আটজন। কাইমুর জেলায় এক শিক্ষকসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গায়াতে মারা গেছেন তিনজন। শেখপুর ও মুঙ্গেরে মারা গেছেন চারজন।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
-20241114092417.jpg)
