ব্রিটিশ তরুণী লুসি ওয়াইল্ড কানে বেশ কিছু দিন ধরেই খসখস শব্দ পাচ্ছিলেন,তবে গুরুত্ব দেননি। যত সময় যাচ্ছিল শব্দ বাড়ছিলই সাথে ব্যথাও। অবশেষে বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলেন। পরীক্ষা করে দেখা গেল, ২৯ বছর বয়সী এই তরুণীর কানে বাসা বেঁধেছে আস্ত মাকড়সা। পরবর্তীতে সেটি বের করা হয়।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লুসির কানের মধ্যে ক্রমাগত খসখসে আওয়াজ অবিরাম কর্কশ শব্দে রূপ নেয়। শুরুতে তিনি ভেবেছিলেন, কানে হয়ত ময়লা জমেছে। তবে সব সময়ই এই শব্দ পাওয়ায় এই নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যামেরা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টবাড ব্যবহার করেন।
এতে তিনি দেখেন, কানের ভেতরে বসে আছে আস্ত একটি মাকড়সা। উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের চেশায়ারের বাসিন্দা লুসি তখন জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করেন। সেবিকারা এসে তার কানে গরম অলিভ অয়েল দেন। এতে মাকড়সাটি বেরিয়ে আসে, যা প্রায় ১ সেন্টিমিটার লম্বা। এতে তার কানে রক্তক্ষরণ হয় এবং শুনতে সমস্যা হয়।
কিছুদিন পর লাকির কানে আবার ব্যথা হয়। ফের স্মার্টবাড ব্যবহার করে তিনি ভেতরে অন্ধকারাচ্ছন্ন দেখতে পান। হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক সব দেখে জানান, কানের ভেতরে মাকড়সার বাসা রয়ে গেছে।
লুসি বলেন, চিকিৎসকরা এরকম ঘটনা এর আগে কখনো দেখেননি। তারা জানতে চান, মাকড়সা কীভাবে কানের ভেতর গেল।
লুসি ওয়াইল্ড বলেন, এটি কীভাবে ঢুকল বুঝতেই পারিনি। তবে আমি ভয় পেয়েছিলাম। এজন্য যুক্তরাজ্যের জরুরি যোগাযোগ নম্বর-১১১-এ কল দিয়ে সহায়তা চাই।
এ ঘটনায় অবাক হন চিকিৎসক নিজেও। কানের ভেতরে মাকড়সার আবাসস্থলের কথা শুনে হতবাক হন রোগীও।
লুসি আরও জানান, চিকিৎসক কান পরিষ্কার করে দিলে ব্যথা দূর হলেও এমন পরিস্থিতিতে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত।