মে ৮, ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের ‘পাল্টাপাল্টি হামলা চালানো হয়ে গেছে’ আর তাই এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী উত্তেজনা আরও বাড়ানো থেকে বিরত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, পৃথকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বুধবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা করেছেন।
হোয়াইট হাউজে বুধবার ট্রাম্প বলেন, “তারা পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা নিয়েছে, তাই আশা করি, এখন তারা থামবে।”
তিনি উভয় পক্ষকেই ‘খুব ভালোভাবে চেনেন’ মন্তব্য করে ট্রাম্প জানান, তাদের এই সংকটের মিটমাট দেখতে চান তিনি।
“আর আমার যদি কিছু করার থাকে, আমি তা করব,” বলেন তিনি।
দুই প্রতিবেশীর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প।
রয়টার্স লিখেছে, বুধবার পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। জবাবে পাকিস্তান কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে; হুমকি দিয়েছে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার। এটি তাদের মধ্যে গত দুই দশকে হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। অন্যদিকে, ২০২১ সালে প্রতিবেশী আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর গুরুত্ব কমলেও পাকিস্তান এখনও ওয়াশিংটনের মিত্রই রয়ে গেছে।
সম্প্রতি দুই দেশেরই সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ভারতের বুধবারের হামলার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উভয় পক্ষের সঙ্গে ফোনে আলোচনাও করেছেন।
ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, এসব সব ঘাঁটির সঙ্গে পেহেলগাম হামলার যোগসূত্র রয়েছে। গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চালানো ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়।
কাশ্মীরের এই হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে। কিন্তু অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইসলামাবাদের তরফে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়। তখন ভারতের প্রতি ওয়াশিংটন সমর্থন জানালেও সরাসরি পাকিস্তানকে দোষারোপ করেনি।
পাকিস্তানের বক্তব্য অনুযায়ী, বুধবার ভারতের হামলায় তাদের ৩১ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-গাজা সংঘাত নিয়ে কূটনৈতিক ব্যস্ততার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ থেকে প্রাথমিকভাবে বিরত থাকতে পারে।