রমজানের শুরুতেই গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পথ বন্ধ করল ইসরায়েল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২, ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম

রমজানের শুরুতেই গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পথ বন্ধ করল ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে না হতেই সেখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার তাগাদা দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসব উপলক্ষে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকা। এই প্রস্তাবে এরই মধ্যে রাজি হয়েছে ইসরায়েল, তবে হামাসের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ সাময়িক যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবটিতে ইসরায়েল সম্মত বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এমন অবস্থায় গাজায় সামরিক সহায়তার পথ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল।

এ নিয়ে এরই মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। তারা বলছে, এটি আসলে ব্ল্যাকমেইল করার অংশ। এতে মধ্যস্থতাকারীদের অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতে হবে। চলমান যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ চুক্তি অনুযায়ী হওয়া উচিত বলে মনে করছে হামাস। 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ১৬তম দিন থেকে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে আলোচনার জন্য প্রতিনিধিদল পাঠাতে বিলম্ব করে ইসরায়েল। শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল গত বৃহস্পতিবার মিসরের কায়রোয় নিজেদের প্রতিনিধিদল পাঠায়।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আল জাজিরাকে জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয় ইসরায়েল। তারা প্রথম ধাপেরই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চায় এবং সেই উদ্দেশ্যেই কায়রোতে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।

এদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নয়। তারা যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের মূল চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা করতেই আগ্রহী।

Link copied!