গাজায় এখনো নির্বিচারে হামলা চালিয়ে চলেছে ইসরায়েল। বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানও চলছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা ও পশ্চিম তীর মিলে নিহত ছাড়িয়েছে ১১ হাজার ২০০।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা ও পশ্চিম তীর মিলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২০৮ জনে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৯ হাজার ৫০০ জন।
নিহতদের মধ্যে ১১ হাজার ২০৫ জন গাজার এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে আরও ১৮৩ জন। এ ছাড়া গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৭ হাজার এবং পশ্চিম তীরে আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের অধিক।
এদিকে, মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে আরব লিগের প্রতি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনকে (হামাস) ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জর্ডানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী তাহের আল-আদওয়ান।
আল-আদওয়ান বলেন, গাজা ও ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি নিয়ে যদি আসন্ন আরব লিগ শীর্ষ সম্মেলন এবং সমগ্র পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তাঁদের ‘অশুভ’ জোট আল-কাসাম ব্রিগেডকে (হামাসের সশস্ত্র বাহিনী) যে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছে তা আরবদের অস্বীকার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সম্মেলনে অবশ্যই হামাস গোষ্ঠীকে প্রতিরোধ আন্দোলনের দল এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
পোস্টে আল-আদওয়ান আরও বলেন, ‘গাজার প্রতিরোধ যুদ্ধকে স্বীকৃতি ও সমর্থন দিন, ইসরায়েলি দখলদারির অধীনে নিপীড়িত ভাতৃসম আরব ফিলিস্তিনি জনগণের এটি প্রাপ্য। যদি ইরান বা অন্য কোনো দেশ যাদের আরব দেশগুলোর ওপর খবরদারি করার উচ্চাভিলাষ রয়েছে তাদের (হামাস) সঙ্গে সমন্বয় করে থাকে তাহলে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।’
গত ৭ অক্টোবর গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল হামলা শুরু করে দেশটির সেনারা। এতে মৃত্যুর সংখ্যা আরও দ্রুতহারে বেড়ে গিয়েছে।