জুন ১৪, ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মুখে ইসরায়েল যেমনটা বলছে যে তাদের শুক্রবারের হামলার লক্ষ্য ছিল তেল আবিবের ‘অস্তিত্বের জন্য হুমকি’ ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতাকে ছেঁটে ফেলা, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সম্ভবত আরও বড় লক্ষ্য আছে—তেহরানের শাসনব্যবস্থা বদলে ফেলা।
তিনি হয়তো ভাবছেন, ইরানে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা এমন এক ‘চেইন রিঅ্যাকশনের’ শুরু করে দেবে, যার চূড়ান্ত পরিণতি দাঁড়াবে তুমুল অস্থিরতা-অশান্তি, যা ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির পতন ঘটাবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে নিজের আশাবাদের কথা প্রকাশ্যে বলেও ফেলেছেন তিনি।
“সময় এসেছে ইরানের জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, নিজেদের পতাকা ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের চারপাশে একত্রিত হয়ে নির্যাতনকারী ও অশুভ শাসন থেকে মুক্তির জন্য রুখে দাঁড়ানোর,” বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ব্রিটিশ এ সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানি জনগণের অনেকেই তাদের অর্থনীতির অবস্থা, সীমিত বাকস্বাধীনতা, নারী অধিকার ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে অসন্তুষ্ট।
তার মধ্যে ইসরায়েলের এ হামলা ইরানের নেতৃত্বের জন্য সত্যিকারের হুমকি হয়েই এসেছে।
এদিকে আলফ্রেড ডেকিন ইনস্টিটিউটের মিডল ইস্ট স্টাডিজ ফোরামের পরিচালক শাহরাম আকবরজাদেহ বলেছেন, তিনি মনে করেন, আরও হামলা হবে। ইসরায়েল এবং ইরান দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে।
আল-জাজিরাকে শাহরাম বলেন, এই সংঘাত পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এতে টেনে আনার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
আকবরজাদেহ আরও বলেন, ইসরায়েল আসলে চাচ্ছে, একবার সামগ্রিক সংঘাত শুরু হলে, ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাধ্যবাধকতা এবং প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে।