নভেম্বর ১১, ২০২৩, ০১:০৩ পিএম
খুনের মামলা কেন্দ্র করে একেবারে নাটক হয়ে গেল ভারতের সুপ্রিমকোর্টে এক কিশোরকে নিয়ে। দেশটির পিলভিটের বাসিন্দা ১১ বছরের এক কিশোর নিজেই আদালতে এসে জানিয়ে দিল সে বেঁচে আছে।
তাকে নিয়ে খুনের যে মামলা করা হয়েছে তা পুরো মিথ্য়া। এর পরই শোরগোল পড়ে যায় আদালতে।
ওই কিশোরের দাবি, আমি বেঁচে আছি। বাবা মিথ্যা মামলা করে দাদু আর কাকাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। কিশোরের এমন বয়ান শুনে হতবাক আদালত।
শেষ পর্যন্ত আদালত জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকার, পুলিশ সুপার ও থানার কর্মকর্তার কাছে নোটিশ পাঠিয়েছেন।
কিন্তু ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল? হিন্দুস্তান টাইমস বলছে— একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গেছে, ওই কিশোর তার মামার বাড়ির দাদুর সাথে থাকত। সেই ২০১৩ সাল থেকে সে মামার বাড়িতে থাকে। এদিকে তার মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল কিশোরের বাবার বিরুদ্ধে। কারণ সে আরও যৌতুক চাইত। কিন্তু গরিব কৃষক পরিবার ওই পরিমাণ যৌতুক দিতে চাইত না।
এদিকে মারধর সহ্য় করতে না পেরে ২০১৩ সালে মারা যান ওই মহিলা। এর পর মহিলার বাবা জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন।
এদিকে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি আবার ছেলের অধিকার দাবি করে মামলা করেন। আদালতে মামলা চলতে থাকে। এরপর ওই জামাই তার শ্বশুর ও অন্যদের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে খুনের অভিযোগ তুলে মামলা করেন।
কিন্তু ওই কিশোর একেবারে ভরা আদালতে এসে জানিয়ে দিল যে সে বেঁচে আছে। তাকে নিয়ে মিথ্য়া মামলা করা হয়েছে।