সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
থাইল্যান্ডে আবারও ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে। ধনকুবের ব্যবসায়ী অনুতিন চার্নভিরাকুলকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেছে থাই পার্লামেন্ট। এ নিয়ে দু’বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো নতুন প্রধানমন্ত্রী পেলো দেশটি।
এর আগে গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালতের রায়ে প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা পদচ্যুত হন। তারই স্থলাভিষিক্ত হলেন ৫৮ বছর বয়সী অনুতিন।
অনুতিনের ভুমজাইথাই পার্টি সিনাওয়াত্রার দল ফেউ থাই নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং প্রধানমন্ত্রী পদ জয়ের জন্য পার্লামেন্টে যথেষ্ট সমর্থন আদায় করে নিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এখনও নাও কাটতে পারে। সম্প্রতি কয়েক বছরে থাইল্যান্ডে একের পর এক সরকার আদালতের রায় বা সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।
অনুতিনের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা। ২০০১ সালে পায়েতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পরিবারটি থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আধিপত্য বজায় রেখে এসেছে।
অতীতে সিনাওয়াত্রা পরিবারের জনমুখী নীতি নিম্নআয়ের থাই জনগণের বিপুল সমর্থন পেলেও পরে তা ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতন্ত্রী অভিজাতদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ায়।
থাকসিন ও তার বোন ইংলাক দুজনই একসময় থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাকলেও তারা উভয়ই ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান।
পায়েতংতার্নের প্রধানমন্ত্রী হওয়াকে থাকসিন পরিবারটির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হিসেবেই দেখা হয়েছিল। কিন্তু তার অপসারণ আবারও প্রমাণ করেছে যে, রক্ষণশীল-রাজতন্ত্রী অভিজাতদের আনুকুল্য তারা হারিয়েছে।