জুন ১৮, ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ষষ্ঠ দিনে পা রাখল ইসরায়েল-ইরান সংঘাত। বুধবারও দুই দেশ একে অপরের উপর হামলা করেছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে বুধবার সকালেই তাদের উপর মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। তেল-আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েল তেহরানের কাছে তেল শোধনাগারে আক্রমণ করেছে।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পন’ করতে বলেছেন।
ট্রাম্প যা বলেছেন
মঙ্গলবার ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দেন, ‘ধৈর্য কমছে যুক্তরাষ্ট্রের।’ ট্রুথ সোশালে তিনি লেখেন, “ইরানের সর্বোচ্চ নেতা (আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি) কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন তা আমরা নির্দিষ্ট ভাবে জানি। তিনি আমাদের সহজ টার্গেট। তবে তিনি সেখানে নিরাপদ। তাকে আমরা অন্ততপক্ষে এখনই মারছি না। কিন্তু আমরা চাই না, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বেসামরিক মানুষ মারা যান বা অ্যামেরিকার সেনার ক্ষতি হোক। আমাদের ধৈর্য কমছে। এই ঠিক তিন মিনিটের মধ্যেই তিনি লেখেন, ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’।
কানাডায় জি-৭ থেকে দেশে ফিরে ট্রাম্প বলেছেন, “সাময়িক সংঘর্ষবিরতি নয়, এর শেষ দেখতে চাই!”
মধ্যেপ্রাচ্যে মার্কিন যুদ্ধবিমানের সংখ্যা বাড়ছে?
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মঙ্গলবার টেলিফোনে কথা হয় ট্রাম্পের।
হোয়াইট হাউস থেকে আরো জানানো হয়, মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাম্প ন্যাশানাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সঙ্গে ৯০ মিনিটের বৈঠক করেন। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা অবশ্য এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অন্তত তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা তাদের বলেছেন, অ্যামেরিকা মধ্যেপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত প্রশ্নে এখনো অবধি কেবলমাত্র রক্ষণাত্মক ভূমিকা নিয়েছে। ইসরায়েলের দিকে আসা মিসাইল নিষ্ক্রিয় করার কাজ করেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েল তেহরান থেকে মানুষদের অন্যত্র সরে যেতে বলেছে। ইরানের সামরিক এলাকায় আক্রমণও করার জন্যই খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরানের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, তেহরান এবং তার পশ্চিমে কারজ শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।