জাতিসংঘকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে যা করলো ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ২৬, ২০২৩, ০২:২৯ এএম

জাতিসংঘকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে যা করলো ইসরায়েল

ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত গাজা। ছবি: রয়টার্স।

“গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের ‘ভয়াবহ হামলা’র প্রতিশোধ নিতে কোনো কিছুই ‘নির্বিচারে ফিলিস্তিনের সব জনগণের ওপর হামলার’ ন্যায্যতা দিতে পারে না। একই সঙ্গে গাজায় আমরা ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ প্রত্যক্ষ করছি”— এমন মন্তব্য করার কারণে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। এরপর জাতিসংঘকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য সংস্থাটির ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথসের ভিসা বাতিল করেছে দেশটি।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাদ এরদান সামরিক রেডিওতে বলেছেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বক্তব্যের কারণে আমরা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের ভিসা দেব না। আমরা ইতিমধ্যেই ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথসের ভিসা প্রত্যাখ্যান করেছি। তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে।’

এর আগে গুতেরেস বলেছিলেন, ‘কোনো কিছুই ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের হত্যা, আহত এবং অপহরণ বা তাঁদের আবাস্থলে রকেট নিক্ষেপকে সমর্থন করতে পারে না। পাশাপাশি সব জিম্মির সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে এবং অবিলম্বে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ইসরায়েলে হামাসের হামলাগুলো বিনা কারণে ঘটেনি বা শূন্য থেকে আসেনি। ৫৬ বছর ধরে ফিলিস্তিনিরা একটি শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারির মধ্যে রয়েছে। তাঁদের ভূখণ্ড ক্রমাগত দখল ও সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েল। তাঁদের অর্থনীতি ভেঙে দিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার রাজনৈতিক সমাধানের আশা লোপ পেয়েছে।’

এদিকে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেছেন, ‘গুতেরেসের পদত্যাগ করা উচিত, তাঁর বক্তব্য ‘হতাশাজনক’। তিনি নাকি হামাসের গণহত্যাকে বিকৃত এবং অনৈতিকভাবে দেখেন।’

গিলাদ এরদান আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব শিশু, নারী ও বয়স্কদের ওপর গণহত্যা চালানোদের জন্য যে বোঝাপড়া হাজির করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই, তিনি জাতিসংঘের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত নন। আমি তাঁকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাই।’

Link copied!