করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শনিবার পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৭ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ১৬ দিনে প্রায় ৩ লাখ মানুষ মারা গেছেন। শনিবার পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৩৮ লাখ ৫৯৫ জন মারা গেছেন। এদিন গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ১১ হাজার ৮৯১ জন। শুক্রবার (১১ জুন) গত ২৪ ঘন্টায় ১১ হাজার ৭৪৩ জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার একদিনে মারা গিয়েছিল ১৪ হাজার ৩৩৬ জন।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে
করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমেছে। শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বে ৪ লাখ ২২ হাজার ৬২৩ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৬ জন। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (১০ জুন) আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ৪ লাখ ৩১ হাজার ৬০৫ জন। সারবিশ্বে পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্য ১৭ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে।
করোনায় মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, শনিবার (১২জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে ৩৮ লাখ ৫৯৫ জনের মৃতু হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৪ জন। এই হিসেবে গত ২৪ ঘন্টায় সারাবিশ্বে ১১ হাজার ৮৯১ জন মারা গেছেন।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ি গত ২৭ মে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ওইদিন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় ৩৫ লাখ ১২ হাজার ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে গত ৩ জুন মৃত্যুর সংখ্যা ৩৭ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ওই দিন ৫পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৫৬১ জন। আর ১২ জুন সারাবিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়ায় ৩৮ লাখ। এহিসেবে গত ১৬ দিনে সারাবিশ্বে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪০১ জনের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর সংখ্যা
গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যানি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) পর্যন্ত বিশ্বে মারা যায় ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৬১ জন। বুধবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৬২৫। মঙ্গলবার (৮ জুন) পর্যন্ত বিশ্বে মৃত্যু হয়েছিল ৩৭ লাখ ৫১ হাজার ৯৩০ জনের। সোমবার (৭ জুন) পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩৫। রবিবার (৬ জুন) পর্যন্ত বিশ্বে মারা যায় ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯২ জন। শনিবার (৫ জুন) পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৩৭ লাখ ২৭ হাজার ২৮৩ জন।
মৃত্যুর দিকে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ি মৃত্যুর দিক দিয়ে এখনও শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ১৪ হাজার ৭৩৮ জন মারা গেছেন। শুক্রবার (১১ জুন) পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১৪ হাজার ৭। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে মারা যায় ৬ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৪ জন। বুধবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১৩ হাজার ৫২ জন। মঙ্গলবার (৮ জুন) পর্যন্ত মারা যায় ৬ লাখ ১২ হাজার ৭০১ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫০ জন মারা গেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩৫। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে মারা যায় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯১ জন। বুধবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৩০৭। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে মারা যায় ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬১৪ জন।
মৃত্যর দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম এই গণতান্ত্রিক দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭ জন মারা গেছেন।শুক্রবার পর্যন্ত দেমটিতে মারা যায় ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৫। বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে মারা যায় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৭।
করোনায় শনাক্তের সংখ্যা
এদিকে,ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি শনিবার (১২ জুন) সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৭ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৩০৬ জন। শুক্রবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৫৬ লাখ ১৮ হাজার ৬৮৩। এই হিসেবে শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৬২৩ জন। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ১৭ কোটি ৫৬ লাখ ১৮ হাজার ৬৮৩ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৭। বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৭ কোটি ৪৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬২ জন। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৬।
আক্রান্তেও শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে এখনও শীর্ষে অবস্থান করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৬ হাজার ৪৪৬ জন। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৩। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) পর্যন্ত দেশটিতে শনাক্ত হন ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৭ জন। বুধবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৮৬০। মঙ্গলবার (৮ জুন) পর্যন্ত দেশটিতে করোনা শনাক্ত হন ৩ কোটি ৪২ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ জন। সোমবার (৮ জুন) পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার ৭৮২ ।
আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। বাংলাদেশের এই প্রতিবেশি দেশটিতে শুক্রবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে ২ কোটি ৯৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। শুক্রবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৮। এই হিসেবে দেশটিতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৬৯৫ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) পর্যন্ত দেশটিতে শনাক্ত হয় ২ কোটি ৯১ লাখ ৮২ হাজার ৭২ জন। বুধবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৯০ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৬। মঙ্গলবার (৮ জুন) পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৯ জন। সোমবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৮৯ লাখ ৯ হাজার ৬০৪। রবিবার পর্যন্ত আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিল ২কোটি ৮৮ লাখ ৮ হাজার ৩৭২জন। শনিবার (৫ জুন) পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৫।
করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৭৩ লাখ ১ হাজার ২২০ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। শুক্রবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৫৯। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শনাক্ত হন ১ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ৩৫৭ জন। বুধবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ ৩৮ হাজার ২৬০।
মঙ্গলবার (৮ জুন) পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮১২ জন। সোমবার(৭ জুন) পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬২।
করোনায় সুস্থ
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, শনিবার (১২ জুন) পর্যন্ত সারাবিশ্বে ১৫ কোটি ৯৬ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন সুস্থ হয়েছেন। শুক্রবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল। ১৫ কোটি ৯১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০। বৃহস্পতিবার(১০ জুন) পর্যন্ত সুস্থ হয়েছিলেন ১৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার ২৩ জন। বুধবার পর্যন্ত সারাবিশ্বে সুস্থ হয়েছিল ১৫ কোটি ৮১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৩৫ জন। মঙ্গলবার (৮ জুন) পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ২৩ হাজার ৫২৪ ।
করোনা সক্রিয় রোগী
সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ কোটি ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৯ জন। শুক্রবার পর্যন্ত সক্রিয় রোগী ছিল ১ কোটি ৬৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৩ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪৪ । বুধবার পর্যন্ত বিশ্বে সক্রিয় রোগী ছিলেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৪ হাজার ৮২৭ জন। মঙ্গলবার পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ৮২। সোমবার পর্যন্ত বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগী ছিলেন ১ কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার ৬১৪ জন। রবিবার পর্যন্ত সক্রিয় রোগী ছিল ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ৫৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করে।