ভারতের ধর্মশালায় বৌদ্ধ ধর্মীয় এক আচার অনুষ্ঠানে তিব্বতি আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামা এক শিশুকে ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলেছেন, 'সাক মাই টাঙ্' (আমার জিহ্বা চুষে দাও)। সেই মঞ্চে অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সেই ঘটনা নিয়ে তিব্বতের শীর্ষ বৌদ্ধ ধর্মীয় এই নেতার বিরুদ্ধে 'পেডোফিলিয়া' বা শিশুদের প্রতি যৌন নিপিড়নের অভিযোগ তুলছেন কেউ। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক মাধ্যমে।
ঘটনাটি গত সপ্তাহের। সেই সময় তিব্বতের শীর্ষ মন্দিরের ধর্মশালায় বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত শিক্ষার্থীরা তাদের শীর্ষ ধর্মগুরু দালাইলামা'র দীর্ঘ জীবন কামনায় এক প্রার্থনা সভায় অংশ নেয়।
ওই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এ প্রার্থনাসভা পরিচালিত হয়। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ সংক্রান্ত এক রিপোর্ট রবিবার মধ্যরাতের খানিকটা আগে তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দালাইলামা কর্তৃক কিশোরকে চুমু দেওয়ার ভিডিও খুব দ্রুতগতিতে নিন্দা, আলোচনা ও সমালোচনাকে উস্কে দিয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, এটা পেডোফিলিয়া'র শামিল।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, শীর্ষ এ ধর্মীয় নেতার শিষ্য ও শুভ্যানুধায়ীরা অবশ্য এতে অন্যায় কিছু দেখেননি এবং দাবি করেছেন শীর্ষ ধর্মগুরু ওই বালকের সাথে 'জোকস্' করেছেন।
চীনের তাক্তসরে ৬ জুলাই ১৯৩৫ সালে বর্তমান ১৪ তম এই দালাই লামা'র জন্ম। তিনি চীন থেকে নির্বাসিত। তাঁর বর্তমান বয়স ৮৭ বছর।
তিনি তিব্বতের আধ্যাত্মিক প্রধান এবং শাসনতন্ত্রের শীর্ষ পদাধিকারী। ১৩৯১ সালে প্রথম দালাই লামার জন্মের পর থেকে এখনও অবধি ১৪ জন দালাই লামা এসেছেন। তিব্বতি বৌদ্ধদের বিশ্বাস অনুসারে দালাই লামা করুণাময় বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বরের অবতার। তিব্বতের লাসা শহরে অবস্থিত পোতালা প্রাসাদে তাঁর বাসভবন।
জানা যায়, চীনের অভিযান এড়াতে তিনি ১৯৫৯ সালে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে পালিয়ে এসে ভারতের পূর্বাঞ্চলে ম্যাকলিয়ডগন্জের ধর্মশালায় বসবাস করেন। এখানেই তাঁর ধর্মীয় কার্যকলাপ পরিচালিত হয়।