ক্যাপিটল হামলার জেরে বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলছেন। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এটি চালু হবে।
ইতোমধ্যে ট্রাম্পের অনুসারীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে। তার অনুসারীদেও প্রত্যাশা টুইটার, ফেসবুকের চেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ট্রাম্প গড়ে তুলবেন ট্রাম্প।
রবিবার (২১ মার্চ) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বিগত নির্বাচনী মুখপাত্র জেসন মিলার এমনটাই বলছেন। এসময় তিনি ট্রাম্পের নতুন এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের পুরো খেলাই ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত হবে। মিলার আরও জানান, কোটি কোটি লোক ট্রাম্পকে ভালোবাসে। ট্রাম্প দ্রুত এমন একটা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলবেন, যেখানে সবাই কথা বলতে পারবে। আর সবাই ট্রাম্পের কথাও শুনতে পারবে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেপরোয়া ও উসকানিমূলক কথাবার্তা প্রচার করতে থাকেন। টুইটার ট্রাম্পের বিতর্কিত পোস্টের নিচে নিজেদের বক্তব্য জুড়ে দিতে থাকে। ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত পোস্ট দিতে থাকেন। এ সময় টুইটার স্থায়ীভাবে ট্রাম্পের বক্তব্যের নিচে নিজেদের বক্তব্য জুড়ে দিতে থাকে।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার পর টুইটার ও ফেসবুক ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রাম্পের প্রচারিত কিছু বক্তব্য ক্যাপিটল হিলে হামলায় উস্কানি দিয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। এদিনের হামলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন ট্রাম্প-সমর্থকেরা। কোনো কোনো আইনপ্রণেতা অল্পের জন্য বেঁচে যান। এই হামলার পর প্রায় সব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হয়।
সূত্র: বিবিসি।