ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড-সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি আটকে দিল তুরস্ক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৯, ২০২২, ১২:৩৮ পিএম

ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড-সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি আটকে দিল তুরস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন উত্তর আটলান্টিক সামরিক নিরাপত্তা জোটে (ন্যাটো) ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আলোচনা শুরুর আগেই তা  আটকে দিয়েছে তুরস্ক।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক বলেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্কের নিরাপত্তার প্রতি সম্মান দেখানো না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো জোটের সদস্য হতে দেওয়া হবে না।

তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের’ ফিরিয়ে না দিয়ে ন্যাটোতে যোগদান করার বিষয়টি তুরষ্ক সমর্থন করবে, সুইডেনের এমন আশা করা উচিত নয়। একইসঙ্গে সুইডিশ এবং ফিনিশ প্রতিনিধিদের জোটে তাদের সদস্যপদ সমর্থন করার জন্য তুরস্ককে রাজি করাতে আঙ্কারায় আসাও উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তুর্কি নেতা।

বুধবার তুরস্কের পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন পার্টির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এসব কথা বলেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণেই নিজেদের  নিরাপত্তায় শঙ্কিত এই দেশ দুটি ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করে। অবশ্য তুরস্কের আপত্তি সত্ত্বেও যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে মাত্র কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তুরস্ক বলছে, জঙ্গিগোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ও ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারীসহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড। ফেতুল্লাহ গুলেনকে ২০১৬ সালে তুরস্কে একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী করে থাকে আঙ্কারা।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “সন্ত্রাসী সংগঠনের আক্রমণ থেকে আমাদের সীমান্ত রক্ষা করার বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই স্পর্শকাতর।”

ন্যাটোর অন্যান্য দেশগুলোর সমালোচনা করে তাইয়েপ এরদোয়ান আরও বলেন, “  সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্ররা সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি-সহ কুর্দি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুরস্ককে কখনোই সমর্থন করেনি।” ওয়াইপিজি’কে পিকেকে-এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে থাকে আঙ্কারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সামরিক জোট ন্যাটোতে তুরস্ক যোগ দেয় ১৯৫২ সালে। নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই জোটে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়।এরই ধারাবাহিকতায় এই জোটে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ পায় তুরস্ক।

Link copied!