পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং আগামী দিনেও ভারতের অংশ হিসাবেই থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার জম্মুতে কার্গিল যুদ্ধ জয়ের ২৩ তম বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
রাজনাথ বলেন, “ভারতে থাকবেন বাবা অমরনাথ আর নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে থাকবে মা শারদা। এটা হতে পারে না।”
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ব্যাপারে ভারতের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “এ ব্যাপারে একটি রেজোলিউশন নেওয়া হয়েছে সংসদে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ভারতে বাবা অমরনাথ এবং নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে মা শারদার থাকা কখনও মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।” অমরনাথে রয়েছে শিবের মন্দির। এবং শারদা পীঠে রয়েছে সরস্বতী মন্দির যা শারদা বলে পরিচিত। এই মন্দির এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত।
১৯৬২ সালের চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গও টেনে রাজনাথ বলেন, “১৯৬২ সালে চিন লাদাখ দখল করেছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলালা নেহেরু। আমি তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই না। কিন্তু নীতির ব্যাপারে দুর্বলতা ছিল। যাই হোক, আজকের ভারত পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশ।”
কার্গিল বিজয় দিবসে যুদ্ধ জয়ের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল রাজনাথের কথায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের কথাও স্বাভাবিক ভাবেই আলোচিত হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজনাথ বলেন, “আমাদের সেনারা দেশের জন্য সবথেকে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। প্রচুর সাহসী সেনা ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে নিজেদের জীবন দিয়েছেন। আমি তাঁদের নতমস্তকে প্রণাম জানাই।” পাশাপাশি জম্মুতে যে সব নিরাপত্তারক্ষী দেশের জন্য প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ৮ মে থেকে ২৬ জুলাই অবধি হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধ। দুর্গম এলাকায় শীতের সুযোগে পাকিস্তানের সেনা ঢুকে পড়েছিল ভারতীয় ভূখণ্ডে। পাক সেনাবাহিনীর সেই অসৎ উদ্দেশ্যকে প্রতিহত করেছিলেন ভারতীয় সেনারা। দুর্গম এলাকায়, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রচুর প্রাণের বিনিময়ে পাক বাহিনীকে হঠাতে সমর্থ হয়েছিল ভারত। তারপর থেকেই প্রতিবছর ভারত কার্গিল বিজয় দিবস পালন করে আসছে।