সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২, ০২:৫০ পিএম
ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ার আগে রাজা চার্লস ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারিকে তার স্ত্রী মেগান মার্কেলকে বালমোরাল প্রাসাদে আসতে নিষেধ করেছিলেন। রানীর অন্তিম সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন পরিবারের একেবারে ঘনিষ্ঠ সদস্যরা।
দ্য সান, ডেইলি মেইলসহ একাধিক বৃটিশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রানীর মৃত্যুর সময় ব্রিটেনেই অবস্থান করছিলেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান। তবে রাজা চার্লস তার ছেলে হ্যারিকে ফোন করে মেগানকে বালমোরালে না আনার নির্দেশ দেন। এসময় রাজা চার্লস হ্যারিকে বলেন, “পারিবারিক দুঃখের সময় মেগানকে আনা সঠিক হবে না। শুধুমাত্র রানীর সবথেকে কাছের মানুষেরাই এসময় তার পাশে থাকুক তাই চান তিনি। চার্লস স্পষ্টভাবেই হ্যারিকে জানান যে, মেগান আসলে তাকে কোনোভাবেই স্বাগত জানানো হবে না।

এদিকে ব্রিটিশ টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানী মৃত্যুশয্যায় থাকার পরেও প্রথমে হ্যারিকে ডাকা হয়নি। অথচ সে সময় প্রিন্স উইলিয়াম বালমোরাল প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন। তবে আসলে মেগানের বিষয়ে রাজপরিবার থেকে কি নির্দেশ ছিল তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
রানী মারা যাওয়ার সময় রাজপরিবারের শুধু দুই সদস্য চার্লস এবং অ্যানি তার পাশে উপস্থিত ছিলেন।
রানীর অন্য ছেলেরা অ্যান্ড্রু এবং এডওয়ার্ড যত দ্রুত সম্ভব বালমোরালে যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তাও দেরি হয়ে যায়। এডওয়ার্ডের সঙ্গে তার স্ত্রী সোফি ছিলেন। তবে সোফিকে রানী অত্যন্ত পছন্দ করতেন এবং নিজের মেয়ের মতো দেখতেন। ধারনা করা হচ্ছে, রানী নিজেই হয়তো সোফিকে আসার কথা বলেছিলেন।

রাজপরিবারের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রীর বিরোধ অনেক পুরাতন ঘটনা। রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হ্যারি ও মেগান দম্পতি প্রথমে কানাডার টরন্টো যান। সেখানে বসবাস করতে শুরু করেন। কিন্তু কানাডা যাওয়ার পরে তাঁরা জানান, তাঁদের যে পারিবারিক নিরাপত্তা দেওয়া হতো, তা আর দেওয়া হচ্ছে না। এরপরে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান। যেখানে মিডিয়া মোগল টাইলার পেরির দেওয়া একটি বাড়িতে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। এরপরে অবশ্য তাঁরা মন্টেনিকোতে একটি বাড়ি কিনেছেন।