মার্চ ১৫, ২০২১, ১০:৪৩ এএম
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে গতকাল রবিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৯ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। ইয়াঙ্গুনেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)। এ ছাড়া মান্দালয় ও বাগোসহ অন্যান্য শহরের এদিন ১৭ বিক্ষোভকারী ও এক পুলিশ নিহত হয়।
পশ্চিম ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া শহরে চীনা অর্থায়নে পরিচালিত দুটি পোশাক কারখানায় আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সামরিক বাহিনী ওই এলাকাসহ ইয়াঙ্গুনের দুটি জায়গায় মার্শাল ল জারি করে। জান্তা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা মনে করে, সামরিক অভ্যুত্থানে বাহিনীকে মদদ দিচ্ছে চীন।
পোশাক কারখানায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের চীনা দূতাবাস গতকাল রবিবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
কারখানা দুটিতে কারা আগুন ধরিয়েছে তা স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী বা পক্ষ। তবে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নেতৃস্থানীয় এই থিনজার মং তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সবে দুটি কারখানা পোড়ানো হয়েছে। যদি তোমরা মিয়ানমারে শান্তিমতো ব্যবসা করতে চাও, তবে মিয়ানমারের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হও। লড়াকু হ্লাইংথায়ার জন্য আমরা গর্বিত!’
ইয়াঙ্গুনের চীনা কারখানা এলাকায় দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফটোসাংবাদিক রয়টার্সকে বলেন, ‘মারাত্মক ভয়াবহ পরিস্থিতি, চোখের সামনে মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, আমি জীবনেও এই দৃশ্য ভুলতে পারব না।’
গতকালের ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভে অন্তত ১২৬ জনের প্রাণহানি ঘটল এবং গত শনিবার পর্যন্ত দুই হাজার ১৫০ জনের বেশি লোককে আটক করা হয়েছে বলে জানায় এএপিপি। তবে এদের মধ্যে থেকে ৩০০ জনের মতো মুক্তি পেয়েছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ রক্তক্ষয়ী দিন পার করে মিয়ানমার। সেদিন জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়।
দ্য স্ট্রেইটস টাইমস