নিত্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র হিসেবে ইঢারফোন অবসরে গান শুনতে কিংবা দীর্ঘসময় কথা বলার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। অফিস হোক বা বাড়ি, কাজের ফাঁকে অধিকাংশ মানুষের কানে গোঁজা থাকে হেডফোন। তবে এখন যেহেতু পুরোটাই অনলাইন নির্ভর ফলে ইয়ারফোনের ব্যবহারও খানিক বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত ইয়ারফোন সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। ভারতের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে ওইসব সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে।
শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে
ইয়ারফোনের ব্যবহার করার সময় শব্দ সরাসরি কানে প্রবেশ করে। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ কানে গেলে বিনষ্ট হতে পারে শ্রবণশক্তি। চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, ১০০ ডেসিবেলের উপর ইয়ারফোন ব্যবহার করা উচিত নয় একেবারেই।
কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে
আজকাল বাজারে এমন কিছু ইয়ারফোন পাওয়া যায় যেগুলির শব্দের গুণগতমান ভাল হলেও এতে একটি ঝুঁকিও থেকে যায়। কারণ এসব ইয়ারফোনগুলি কানের বহু গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে কানের ভিতরে বায়ু প্রবেশের বাধার সৃষ্টি করে। এতে কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।
অন্যান্য শারীরিক উপসর্গ
দিনের বেশির ভাগ সময়ে যাঁদের কানে গোঁজা থাকলে যাবে মাথা ধরা বা কানের ভিতর ঝিম ঝিম করা ইত্যাদি নানা শারীরিক উপসর্গ দেখা যায়।
মস্তিষ্কের উপর প্রভাব
ইয়ারফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ব্লুটুথ ইয়ারফোনের ব্যবহার কানকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করে। শুধু তাই নয় ব্লুটুথের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তার ক্ষতিকর প্রভাব মস্তিষ্কের উপর পড়ে।