ফ্রিজের খাবার জীবাণুমুক্ত রাখবেন যেভাবে

তিথি চক্রবর্তী

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম

ফ্রিজের খাবার জীবাণুমুক্ত রাখবেন যেভাবে

সংগৃহীত ছবি

পরিবারের বন্ধুর মতোই খাবার সংরক্ষণের কাজটি করে থাকে ফ্রিজ। আমাদের অনেক সময়, অর্থ, পরিশ্রম বাঁচিয়ে দিচ্ছে কাজের এই যন্ত্রটি। কিন্তু কোন খাবার কতদিন ফ্রিজে রেখে খাওয়া যাবে, এটা না জানার কারণে খাবারের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।  

আসুন জেনে নেই কোন খাবার কতদিন থাকে ফ্রিজে-

মাছ, মাংস সংরক্ষণ

ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা কম থাকায় অধিকাংশ জীবাণু সেখানে বাঁচতে পারে না। তাই খাবার ভালো থাকে। তবে ডিপ ফ্রিজে ওঠানোর আগে অসাবধান থাকলে কিংবা বারবার খাবার ওঠানো-নামানো হলেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিছু সাধারণ নিয়ম তাই জানা থাকতে হবে। যেমন কাঁচা মাছ সংরক্ষণ করতে চাইলে দ্রুততম সময়ে ডিপ ফ্রিজে উঠিয়ে নিতে হবে; কিন্তু মাংসের জন্য নিয়মটা আলাদা। যতক্ষণ পর্যন্ত না উষ্ণ ভাবটা দূর হয়, ততক্ষণ মাংস ফ্রিজে তোলা যাবে না।

অন্যান্য খাবারের ক্ষেত্রে

•          রান্না করা মাছ-মাংসের স্বাদ ভালো থাকবে ১০ থেকে ১৫ দিন। ভাত, পোলাও, খিচুড়িও দিন পনেরোর জন্য রাখা যায়। তবে রান্না করা সবজি দুই-তিন দিনের বেশি ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না।

•          টমেটো পিউরি রাখা যায় ছয় থেকে সাত মাস।

•          ঘরে তৈরি সমুচা, সিঙ্গারা, রোল, কাবাব, যদি হিমায়িত (ফ্রোজেন) করে রাখা হয়, তাহলে মাসখানেক ভালো থাকে। ভাপানো সবজি (ফুলকপি, গাজর, মটরশুঁটি) ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন ছয় থেকে সাত মাস পর্যন্ত। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের জন্য একই নিয়মে ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন আলুর টুকরা, ৭-১০ দিনের জন্য। বেরেস্তা বছরখানেক পর্যন্ত রাখা যায়।

খেয়াল রাখুন

•          কাঁচা মাছ-মাংস বা ভাপানো সবজি ডিপ ফ্রিজে রাখার সময় এমনভাবে প্যাকেট করা উচিত, যাতে তা একবার বের করা হলে ডিপ ফ্রিজে আর ওঠানো না লাগে। অর্থাৎ, একবারে যতটা রান্না করা হবে, ততটাই রাখতে হবে একটি প্যাকেটে। টমেটো পিউরিও এভাবে প্রয়োজন বুঝে ছোট পাত্রে রাখা হলে ভালো।

•          রান্না করা মাছ-মাংসও এমনভাবে রাখুন, যাতে একবার বের করে গরম করা হলে তা ওই বেলায়ই খাওয়া হয়ে যায়।

•          দুধের প্যাকেটের মুখ একবার খোলা হলে তা আর উঠিয়ে না রাখাই ভালো। নিতান্ত যদি রাখতেই হয়, তাহলে পরবর্তীবার ব্যবহারের আগে অবশ্যই খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। তবে টক দই, মাখন বা পনির প্যাকেট বা পাত্র থেকে খানিকটা নিয়ে আবার ডিপ ফ্রিজে উঠিয়ে রাখা হলে সমস্যা নেই।

•          বাটা মসলাও ছোট ছোট মুখবন্ধ পাত্রে রাখা ভালো, যাতে একবারে যা প্রয়োজন, কেবল ততটুকুই থাকে একটি পাত্রে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মসলা এভাবে মাস দুয়েক ভালো থাকলেও ঘ্রাণটা অন্য রকম হয়ে যেতে পারে।

Link copied!