বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন জরুরি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২০, ২০২৩, ০৫:১৬ এএম

বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন জরুরি

বিয়ে বেকল সামাজিক স্বীকৃতিই নয়, বিয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুটি মানুষের নতুন জীবনের দীর্ঘ পথ চলা। কথায় আছে,  স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। একারণে হবু বর ও বধূর কিছু পরীক্ষা আগে থেকে করে নেয়া উচিত। এতে বিবাহিত দম্পতির ভবিষ্যত সুখকর হওয়ার পাশাপাশি সন্তানের ভবিষ্যতও থাকবে সুরক্ষিত।

বিয়ের আগে যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত

হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস: পরীক্ষাটির মাধ্যমে বর বা কনে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত কি না, কিংবা এই রোগের বাহক কি না, জানা যায়। বর ও কনে দুজনেই এই রোগের বাহক হলে তাঁদের সন্তানের থ্যালাসেমিয়ার মতো দুরারোগ্য ব্যাধি হতে পারে। 

ব্লাড গ্রুপিং এবং আরএইচ টাইপিং: হবু বর-কনের রক্তের গ্রুপ একই হলে সন্তান ধারণে কোনো সমস্যা হয় না। তবে রক্তের গ্রুপের রেসাস বা আরএইচ ফ্যাক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (অর্থাৎ রক্তের গ্রুপ পজিটিভ নাকি নেগেটিভ)। কেননা মা আরএইচ নেগেটিভ, কিন্তু বাবা আরএইচ পজিটিভ হলে অনাগত সন্তান পেটের মধ্যে থাকা অবস্থায় ইরাইথ্রোব্লাস্টোসিস ফিটালিস নামে মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে মা আরএইচ নেগেটিভ, কিন্তু বাবা আরএইচ পজিটিভ হলেও প্রথমবার গর্ভধারণের সময় থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিলে সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব।

যৌনবাহিত রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা: এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি ইত্যাদি মারাত্মক রোগগুলো স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের মাধ্যমে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিয়ের আগে এসব রোগ পরীক্ষা করা উচিত।

বন্ধ্যত্ব পরীক্ষা: বন্ধ্যত্ব সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী উভয়েরই বন্ধ্যত্ব পরীক্ষা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ও সংখ্যা পরীক্ষা এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে পেলভিক আলট্রাসনোগ্রাফিম থাইরয়েড, হরমোন ইত্যাদি পরীক্ষা করানো যেতে পারে।

বংশগত রোগের পরীক্ষা: বংশগত রোগগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিস্তার লাভ করে। তাই বিয়ের আগে, বিশেষ করে নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ের আগে বংশগত রোগের পরীক্ষা করানো উচিত।

ক্রনিক রোগ স্ক্রিনিং: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যা ইত্যাদি রোগের পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে পাত্র-পাত্রী দুজনেরই জেনে নেওয়া উচিত, কেউ এসব রোগে ভুগছেন কি না এবং অপরকে জানানো উচিত।

মানসিক রোগ: অনেকেই মনে করেন বিয়ে করলেই মানসিক রোগ ঠিক হয়ে যাবে, যা একেবারেই সঠিক নয়। সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার ইত্যাদি মানসিক রোগ বিয়ের আগেই শনাক্ত করে চিকিৎসা করানো উচিত।

Link copied!