রোজায় পানিশূন্যতা রোধে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৩, ২০২২, ০৪:০৯ পিএম

রোজায় পানিশূন্যতা রোধে

রোজা রেখে কাজ করা। তার সঙ্গে আছে গরমও। ইফতারে পানি খাওয়ার পর শরীরে অবসাদ নেমে আসে। রোজায় কারও কারও শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। একজন সুস্থ-সবল মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। তাই সেহরি, ইফতার অথবা রাতে যত সম্ভব পানি ও ফলের রস বা শরবত পান করতে হবে। দিনে যেহেতু পানির ঘাটতি মেটানোর সুযোগ নেই, তাই রাতে পান করেই পানির ঘাটতি মেটাতে হবে।

সারা দিন ঘাম, প্রসাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু রোজা রাখায় তা আর পূরণ করা সম্ভব হয় না। বয়স্কদের এ সমস্যা বেশি হয়। আবার যাঁরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য ডাই-ইউরেটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করেন, তাদেরও এ সমস্যা হতে পারে।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আব্দুল্লাহ জানান, রোজায় যেহেতু দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়। তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বেশি খাওয়া ঠিক নয় এ সময়। কারণ, খাদ্য পরিপাক করতে গিয়ে প্রচুর পানি ব্যয় হয়। ফলে শরীরে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দেয়।

কেন হয় এই পানিশূন্যতা?

   দীর্ঘক্ষণ পানি না পান করার কারণে।
   ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান না করা।
   বেশি তেল বা ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া যা পরিপাকে প্রচুর পানি ব্যয় হয়।
   অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও অতিরিক্ত গরম।
   এ ছাড়া অনেকের জ্বর, ডায়রিয়া ইত্যাদি কারণেও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

কী করবেন?

সেহরি ও ইফতারের মধ্যবর্তী সময়ে পানি বেশি করে পান করতে হবে। বারবার পান করতে হবে। সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে, যা সহজে পরিপাক হয়। বেশি তেল, মসলাযুক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া ইত্যাদি খাবার পরিহার করতে হবে, যা পরিপাকে প্রচুর পানি ব্যয় হয়।

অতিরিক্ত পরিশ্রম, অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ বাদ দিতে হবে।

ইফতারে বিভিন্ন ফলের রস খেলে সারা দিনের পানিশূন্যতা দ্রুত কমে যায়। ডাবের পানি, খাবার স্যালাইন পান করলে লবন ও পানিশূন্যতা দ্রুত ভালো করে।

এই সময়ে জ্বর বা ডায়রিয়া ইত্যাদি কারণে পানিশূন্যতা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাদের ওষুধ সেবনজনিত পানিশূন্যতা হয়, তাদের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ছাড়া রোদে সরাসরি যাবেন না, ছাতা ও রোদচশমা ব্যবহার করবেন।

Link copied!