বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ড

মরদেহ পেতে হাসপাতালে স্বজনদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১, ২০২৪, ১০:১২ এএম

মরদেহ পেতে হাসপাতালে স্বজনদের ভিড়

আগুনে পুড়ছে গ্রিন কোজি কটেজ , ছবি: সংগ্রহীত

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ বুঝে নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) অপেক্ষা করছেন স্বজনেরা। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিশ নিহতদের ঢামেকে বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তরে কাজ শুরু করেছে পুলিশ  কাগজপত্র পরিচয় যাচাই-বাছাই করে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের কাজ শুরু করেছে।  

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফারসী মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারকী করছেন। তিন জানান , ‘নিহতদের স্বজনেরা এসেছেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’

আজ (শুক্রবার) রাত থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও মর্গের সামনে শতাধিক মানুষকে স্বজনদের খোঁজে আসতে দেখা গিয়েছে। মর্গের ভেতরে মরদেহের সারি এবং তা বুঝে পেতে বাইরে স্বজনদের দীর্ঘ অপেক্ষা।

মরদেহ হস্তান্তর ও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনেরা যাঁরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিহতের নাম-পরিচয় লিখে রাখছে পুলিশ। এরপর রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন স্বজনের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নিচ্ছেন।

নিহতদের বেশির ভাগই খালি চোখে শনাক্ত করতে পারছেন স্বজনেরা। তবে পুলিশের ধারণা, মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করতে তেমন সময় লাগবে না।

প্রসঙ্গত, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে, গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা বিশিষ্ট একটি ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: ‘গ্রিন কোজি কটেজের’ সব তলাতেই ছিল গ্যাস সিলিন্ডার; এমনকি সিঁড়িতেও 

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এ অগ্নিকান্ডে নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনের দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, সকলেই ভবনটিতে থাকা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন:দুই সন্তানসহ মায়ের প্রাণ কেড়ে নিলো বেইলি রোডের আগুন

গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটিতে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হতো। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হতো। এছাড়া দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, ক্যাফে ফেমাস সহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

আরও পড়ুন: নারী-শিশুসহ মৃতের সংখ্যা ৪৪

ফায়ারসার্ভিসের বেশ কিছু ইউনিটের প্রায় দুই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। এরপর রাত ১২টার দিকে ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত গাড়ি ‘রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ ট্রাক’। যা মূলত মরদেহ বহনের গাড়ি। যাতে করে মরদেহ নেওয়া হয় হাসপাতালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:বিশেষ ‘২৯ ফেব্রুয়ারি’ হয়ে উঠলো বিষাদময় 

Link copied!